নিজস্ব প্রতিবেদন : খাবারের স্টার্টারে তেতো থাকে তো? যদি না থাকে, তবে এখন থেকেই  মাস্ট করুন। সে উচ্ছে ভাজা হোক বা নিম পাতা। পরের মশলাদার খাবার দ্রুত হজমে সাহায্য করে। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খাওয়ার শুরুতে তেতো খাওয়ার রেওয়াজ বহু প্রাচীন। শরীরও তাই থাকত সুস্থ, নীরোগ। আধুনিক লাইফস্টাইল ও খাদ্যাভ্যাস বদলাতে ভেঙেছে সেই প্রথা। এখন স্টার্টার দিয়ে শুরু হয় মূল খাওয়া। ক্রিসপি বেবি কর্ন, প্রন ফ্রাই। কত কিছু। শরীরের বারোটা তো বাজছেই। কমছে খিদেও। চিকিত্সকদের পরামর্শ, সুস্থ থাকতে স্টার্টারে ফিরিয়ে আনতেই হবে তেতো।


সে নিম-বেগুন হোক বা উচ্ছের তরকারি। উচ্ছে সেদ্ধ হলে আরও ভালো। খাওয়ার পাতে শুরুতেই থাক তেতো। সকালে খালি পেটে যদি একগ্লাস চিরতার জল খেয়ে দিন শুরু করা যায়, তাহলে তো সোনায় সোহাগা।


কিন্তু, খাওয়ার শুরুতেই কেন তেতো?


তেতো পাকস্থলিতে গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড নিঃসরণ বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে, তেতোর পর খাওয়া খাবার পরিপাকে সুবিধা হয়। তেতোর পর ডাল, তরকারি, মাছ, মাংস খাওয়া হয়। ক্রমশ মশলাদার খাবারের দিকে ঝোঁকা। শেষে অম্বল বা চাটনি। তেতো খাবারের মধ্যে যে রাসায়নিক থাকে, তা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। চিকিত্সকদের দাবি, নিয়মিত নিম বা উচ্ছে খেলে শরীরকে রাখা যেতে পারে নীরোগ।


ডায়াবেটিসের যম নিমপাতা। জন্ডিসে নিমপাতা অতুলনীয়। কৃমিনাশক, উকুননাশক। ত্বকের সুরক্ষায় নিমপাতার প্রচুর গুণ। নিয়মিত নিমপাতা খেলে আলসার, ম্যালেরিয়া অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে দাবি চিকিত্সকদের। এছাড়া চোখ ভালো রাখে নিমপাতা।


শুধু নিমপাতাই নয়, খাওয়ার শুরুতে উচ্ছে বা করলার গুণ বলে শেষ করা যাবে না। করলায় রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, খাদ্যআঁশ, নিয়াসিন, ভিটামিন এ, সি, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। ডায়াবেটিস, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, জন্ডিসে উচ্ছে বা করলা মহৌষধ। ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে। হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা কমায়।


অন্য স্টার্টার বাদ দিন। খাবার পাতে শুরুতেই থাক শুক্তো, নিম-বেগুন, করলা সেদ্ধ, উচ্ছের তরকারির মতো কোনও পদ। এমনটাই বলছেন চিকিত্সকরা।