নিজস্ব প্রতিবেদন: গ্রীষ্মকালটা বাদ দিলে মোটামুটি সারা বছরই কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানা কচিকাঁচাদের ভিড় লেগেই থাকে। প্রচণ্ড গরমের দিনগুলি ছাড়া বিশ্বের যে কোনও প্রান্তেই চিড়িয়াখানার ভিড়ের চেহারাটা মোটামুটি একই রকম। বাঘ, সিংহের মতো ভয়ঙ্কর সব বন্যপ্রাণীদের খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ নিতে কচিকাঁচাদের সঙ্গে চিড়িয়াখানায় ভিড় জমান তরুণ থেকে বৃদ্ধ— সকলেই। কিন্তু এমন চিড়িয়াখানার কথা শুনেছেন যেখানে বাঘ, সিংহ, নেকড়ে, কুমির, বাঁদরের মমি সাজিয়ে রাখা আছে!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


শুনতে অবাক লাগলেও এমন চিড়িয়াখানা রয়েছে। মধ্যপ্রচ্যের গাজায় রয়েছে এই অদ্ভুত চিড়িয়াখানা। নাম সাউথ ফরেস্ট পার্ক। ২০০৭ সালে চালু হয় চিড়িয়াখানাটি। বাঘ, সিংহ, উটপাখি-সহ মোট ৬৫টি প্রাণী জায়গা পায় এই চিড়িয়াখানায়। কিন্তু তার পরই ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের যুদ্ধের কারণে চিড়িয়াখানাটির কোনও রকম রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হয়নি। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে, অনাহারে ১ বছরের মধ্যেই মারা যায় প্রায় সবকটি প্রাণী। শুধু মাত্র একটি বাঘকেই জীবিত অবস্থায় বিক্রি করতে পেরেছিলেন ওই চিড়িয়াখানার মালিক মোহাম্মদ আওয়াইদা। জানা গিয়েছে, মৃতপ্রায় ওই বাঘটিকে ২৩ হাজার ডলারে বিক্রি করতে পেরেছিলেন ওই চিড়িয়াখানার মালিক। বাকি মৃত প্রাণীদের মমি করে সংরক্ষণ করা হয় এই সাউথ ফরেস্ট পার্কে।



আরও পড়ুন: বন্যেরা বনে সুন্দর! তাই 3D প্রযুক্তির সাহায্যে দর্শক টানছে এই সার্কাস!


তবে শুধুমাত্র সাউথ ফরেস্ট পার্কেই নয়, যুদ্ধের কারণে এমন পরিস্থিতির শিকার হয়ে হয় গাজার আল বাইসন জু-এর প্রাণীদেরও। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে, অনাহারে এখানেও ৮০টির মধ্যে মাত্র ২০টি প্রাণী জীবিত রয়েছে। যুদ্ধ চলাকালীন, ২০০৯ সালে গাজার অন্য একটি চিড়িয়াখানার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল। ছবিতে দেখা যায়, একটি গাধাকে সাদা-কালো ডোরাকাটা রং করে জেব্রা সাজানো হয়েছে। আর তা-ই ভিড় করে দেখছেন ওই চিড়িয়াখানায় আসা দর্শকরা।