জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সামনেই শিবরাত্রি। প্রতি বছর ফাল্গুন মাসেই পড়ে এই মহাতিথি। এমনিতে সারা বছরই শিবপুজোর রীতি আছে। তবে এসবের মধ্যে ফাল্গুন মাস যেন শিবপুজোর ক্ষেত্রে একটু বিশেষ। মাসটিকে শিবের বিবাহমাস বলে ধরা হয়ে থাকে। তবে এবার শিবরাত্রি নিয়ে একটা ধন্দ তৈরি হয়েছে। কবে শিবরাত্রি তিথি পালিত হবে, শুক্রবার ৮ মার্চ, নাকি পরদিন শনিবার ৯ মার্চ?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Maha Shivratri 2024: কেন ফাল্গুন-সোমবারে করা শিবপুজোয় ভক্ত লাভ করেন দেবাদিদেবের অতি বিরল আশিস?


দেখে নেওয়া যাক এবারের তিথি:


এবার চতুর্দশী তিথি শুরু হচ্ছে ৮ মার্চ রাত ৯টা ৫৭ মিনিটে। চতুর্দশী তিথি শেষ হচ্ছে পরদিন ৯ মার্চ সন্ধে ৬টা ১৭ মিনিটে।


তবে শিবরাত্রি মূলত নিশিপালনের ব্রতপুজো। আর নিশিপালন করতে হলে করতে হবে শুক্রবারই। কেননা শুক্রের রাতেই থাকছে চতুর্দশী তিথি।


নিশিপুজোর সময় শুক্রবার রাত ১২টা ০৭ মিনিট থেকে ১২টা ৫৬ মিনিট। পরদিন শনিবার ব্রতের পারন। ওদিনও অনেকে সকালে শিবপুজো করা, শিবের মাথায় জল ঢালা বা উপোস করে ব্রত পালন করতেই পারেন। কিন্তু নিশীথমুহূর্ত সেদিন পাওয়া যাচ্ছে না।


এবার শিবরাত্রি পড়েছে শুক্রবার। তবে সোমবারকেই শিবের পুজোর বিশেষ দিন ধার হয়ে থাকে। কেন সোমবার শিবপুজোর রীতি? এ নিয়ে অনেকেরই কৌতূহল আছে। এর পিছনে রয়েছে পুরাণের এক গল্প।


চন্দ্রদেবতা রাজা দক্ষের ২৭ পালিত কন্যাকেই বিয়ে করেছিলেন। এই ২৭ কন্যা আকাশে ২৭ নক্ষত্রের প্রতিনিধিস্বরূপা ছিলেন। যাই হোক, এই ২৭ জনকে বিয়ে করলেও চন্দ্র কিন্তু তাঁদের মধ্যে রোহিণীর প্রতিই বেশি আকৃষ্ট এবং আসক্ত ছিলেন। বাকি বোনেরা তাই এ নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাঁরা এমনকী বিষয়টি নিয়ে তাঁদের পিতা দক্ষের কাছে অনুযোগও জানিয়েছিলেন। দক্ষও সুযোগ বুঝে একদিন তাঁর জামাই চন্দ্রকে অনেক বোঝালেন যে, চন্দ্র যেন তাঁর (দক্ষের) বাকি কন্যাদের প্রতি অবিচার না করেন, যেন সবাইকেই সমান ভালোবাসেন! কিন্তু কে শোনে কার কথা! সেই রোহিণীর প্রতিই বেশি আসক্ত থেকে তিনি অন্য দক্ষকন্যাদের বিরক্তি ও ক্ষোভ উৎপাদন করতে থাকলেন। ফলে, তাঁরাও বাবার কাছে তাঁদের দুঃখের কথা জানাতে থাকলেন। তখন দক্ষ গেলেন দারুণ রেগে। ক্রুদ্ধ দক্ষ চন্দ্রকে অভিশাপ দিলেন। সেই অভিশাপের জেরে দিন-দিন চন্দ্রের জ্য়োতি কমতে লাগল, ক্ষয় হতে লাগল তাঁর। তখন চন্দ্র ভয় পেয়ে ব্রহ্মার কাছে গেলেন। ব্রহ্মা তাঁকে শিবের কাছে পাঠালেন। ব্রহ্মার পরামর্শে চন্দ্র শিবের কাছে গেলেন। তবে শিব দক্ষের অভিশাপ রোধ করতে পারলেন না, কিন্তু তিনি চন্দ্রকে একটা রাস্তা বাতলে দিলেন। শিব চন্দ্রকে আশীর্বাদ করে বললেন, ক্ষয়ের পরেও চন্দ্র তাঁর হৃত শরীর পুনরায় ফিরে পাবেন। আর সেই থেকেই ক্ষয়ে-যাওয়া চাঁদ শোভা পাচ্ছেন শিবের মাথায়।


আরও পড়ুন: Isro Chief S Somnath: যেদিন আদিত্য এল ১ উৎক্ষেপণ, সেদিনই ক্যানসার ধরা পড়ল ইসরো প্রধানের! তারপর?


সে না হয় হল! কিন্তু এর সঙ্গে সোমবারে শিবপুজোর কী যোগ? 


আছে। তবে সরাসরি নয়, একটু পরোক্ষ যোগ। সোমবার আসলে চন্দ্রের বার। আর, এই চন্দ্রের বারে শিবপুজো করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জন্মকুণ্ডলীতে যদি চন্দ্র-দোষ কিছু থেকে থাকে, তবে শিবের কৃপায় তা দূরীভূত হয়। তাই প্রতি সোমবার শিবের পুজোর রীতি। আর তা যদি ফাল্গুন মাসে হয়, তবে তার চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে! 


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)