ওয়েব ডেস্ক : কখনও মাখন চোর, কখনও মুকুন্দ, কখনও গোবিন্দা, কখনও মধুসূদন বলে ডাকা হয় তাঁকে। তিনি যেমন প্রেমের ঠাকুর তেমনি আবার আম জনতার ‘কানহাইয়াও’ বটে। আর আজ সেই শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন। আর আমরা এই দিনটিকে বলি জন্মাষ্টমী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বলা হয়, বিষ্ণুর এক অবতার হলেন শ্রীকৃষ্ণ। বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন রূপে মানুষের মধ্যে হাজির হন তিনি। তাই এই জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণের জীবন থেকে কোন কোন বিষয়গুলি আমরা শিখতে পারি..


বন্ধুত্ব : বন্ধুত্বের পাঠ নিতে গেলে, শ্রীকৃষ্ণ আপনায় উদ্বুদ্ধ করবে। বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে সুদামা এবং কৃষ্ণের উদাহরণই দিয়ে থাকেন মানুষ। কৃষ্ণের সঙ্গে সুদামার বন্ধুত্ব কীভাবে গড়ে ওঠে, শ্রীকৃষ্ণের জীবনী থেকে আপনি তা জানতে পারবেন বেশ ভালভাবেই।


নিজের দায়িত্ব থেকে কখনও সরে যাওয়া উচিত নয় : কোনও কিছুতেই যাতে দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া উচিত নয়, সেই শিক্ষা দেন শ্রীকৃষ্ণ। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে যখন আপনজনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পিছিয়ে আসতে চান অর্জুন, তখন শ্রীকৃষ্ণই তাঁকে সঠিক রাস্তা দেখান।


বিশুদ্ধ ভালবাসা : বিশুদ্ধ ভালবাসা বলতে রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের উদাহরণ দেন অনেকে। রাধার প্রতি কৃষ্ণের অনুরাগ এবং বিশুদ্ধ ভালবাসার উদাহরণ দেওয়া হয় এখনও। হাজার সমালোচনা থাকা সত্ত্বেও একে অপরের প্রতি কীভাবে শ্রদ্ধাশীল থাকতে হয়, তা রাধা-কৃষ্ণের বিশুদ্ধ ভালবাসা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় বলে মনে করা হয়।


কাজ করে যাও, ফলের আশা করো না : কাজ করে যাও, কখনও ফলের আশা করে বসে থেকো না। যে কোনও কাজে মনোনিবেশ করলে, তবেই ফল পাওয়া যায়। আর তার জন্য চাই ধৈর্য এবং মনোনিবেশ।


সব সময় সত্যের জন্য লড়াই করো : কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সময় পাণ্ডবদের পক্ষ নিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। আত্মীয় বলে নয়, ধর্মের পক্ষে ছিলেন বলেই পঞ্চ পাণ্ডবদের পক্ষ নিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ।