নিজস্ব প্রতিবেদন: পুজোর কেনাকাটা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। আর তো মাত্র একটা মাস বাকি। শপিং মলগুলিতে পুজোর জামাকাপড় কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকেই। পুজোর ক’টা দিনের জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন বাঙালিরা। আর পুজো মানেই নতুন জামাকাপড়ে সেজেগুজে প্যান্ডেল হপিং। কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা। আর পুজোর ফ্যাশন বলতে শুধু যে মহিলাদের জামাকাপড়, সেই ধারণা অনেকদিন আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। ‘জেন ওয়াই’ ছেলেরা অনেক বেশি ফ্যাশন সচেতন। তাই পুজোর জামাকাপড় কেনার ব্যাপারে বেশ খুঁতখুঁতে তাঁরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু পুজোর জামাকাপড় কিনতে গিয়ে দোকানে গিয়ে সমস্যায় পড়েন অনেকেই। চারপাশে এত অপশন দেখে টোটাল কনফিউশান। তাহলে কী করে সেরাটা বাছবেন? শপিংয়ে যাওয়ার আগে মাথায় রাখুন এই ১০ টিপস। আর তাহলেই পুজোর কেনাকাটায় হবে ‘পয়সা উসুল’।


অনলাইন বা অফলাইন কেনাকাটার ক্ষেত্রে ছেলেদের যে বিষয়গুলি মাখায় রাখা জরুরি:


১) শুধুমাত্র পুজো নয়, পুজোর পরেও অনেক দিন পরে অফিস, কলেজ যেতে পারবেন, এমন পোশাকই বাছুন। অতিরিক্ত রঙচঙে, গ্লেজ-যুক্ত পার্টি শার্ট কিন্তু পরে অতটা ব্যবহার নাও হতে পারে।


২) আপনার কেনাকাটা করার আগে আপনার জামাকাপড়ের মাপ সম্পর্কে নিশ্চিত হন। তাছাড়া কেনাকাটা করার সময় অবশ্যই ট্রায়াল দিয়ে দেখে নিন। অনলাইন থেকে কেনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যান্ডের মাপ যে আলাদা হয়, সেই বিষয়টি মাথায় রাখবেন।


৩) ট্রেন্ডি পোশাক অবশ্যই কিনবেন। কিন্তু বেসিক টাইমলেস পোশাকের দিকেও নজর দিন। কালো বা সাদা পোলো টি-শার্ট, এক রঙের ফর্মাল শার্ট, সাদা বা কালো এক রঙের টি-শার্ট সবসময়েই ইন-ফ্যাশন। তবে নজর রাখুন কাপড়ের কোয়ালিটির দিকে। সুতির কাপড় কেনাই শ্রেয়।



৪) টি-শার্টের ক্ষেত্রে এখন ট্রেন্ড গ্রাফিক কোট লেখা ডিজাইন। আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মাননসই টি-শার্ট কিনতেই পারেন। নজর রাখুন ফিটের দিকে। খুব বেশি ঢিলে বা টাইট কখনই কিনবেন না। কমফর্টেবল মনে হলে ফুল হাতাও নিতে পারেন।


৫) এক রঙের ফুল-স্লিভ শার্টে সবসময়ই পুরুষদের ভাল লাগে। খুব রোগার দিকে চেহারা না হলে স্লিম ফিটের শার্ট কিনুন। শার্টের পুট যেন আপনার কাঁধে ঠিকঠাক ফিট হয়, সেই দিকে খেয়াল রাখুন। শার্টের ঝুল হবে প্যান্টের জিপের অর্ধেক লেঙ্গথ পর্যন্ত। পুজোতেও পরতে পারবেন, অফিসেও পরে যেতে পারবেন। কিনতে পারেন সুন্দর রঙের কম্বিনেশনের চেক শার্টও। ডেনিম শার্টও দেখতে পারেন। একটু অন্যরকম লুকস চাইলে ট্রাই করুন চাইনিজ কলার।


৬) পুরুষদের ফ্যাশানে এখন ইন ফ্লোরাল প্রিন্টের হাফ-শার্ট। এই শার্টগুলি একটু ঢিলে ফিট হলেও কোনও অসুবিধা নেই। তবে শার্টের হাতা যাতে বেশি বড় না হয়।


৭) পুজোয় প্রায় প্রত্যেকেই একটা হলেও জিন্স কিনবেনই। কেনার আগে দেখে নিন আপনার ওয়ার্ড্রোবে এখনই কী কী রঙের জিন্স আছে দেখে নিন। ডার্ক ডেনিম বা কালো রঙের জিন্স সবসময়ই বেশ স্মার্ট লাগে। স্লিম ফিটে জিন্স নিন। তবে বেশি টাইট বা ন্যারো জিন্স এড়িয়ে চলুন। জিন্সের একঘেয়েমি কাটাতে কিনতে পারেন চিনোস।


৮) পুজোয় অষ্টমীতে পাঞ্জাবি পরে অঞ্জলি দেওয়া মাস্ট। তাই কেনাকাটার তালিকায় রাখুন পাঞ্জাবিও। দুই ধরনের পাঞ্জাবী হয়। এক পার্টি, বিয়েবাড়িতে পরার মতো একটু গর্জাস, ভারি কাজের পাঞ্জাবি। দুই, ক্যাজুয়াল পরার জন্য এক রঙের বা হালকা কাজের পাঞ্জাবি। কালো পাঞ্জাবিও বেশ সুন্দর লাগে। আপনার পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী কিনুন। সঙ্গে যদি থাকে হালকা চাপদাড়ি, পুজোর মন্ডপে আপনার দিকেই থাকবে সকলের চোখ!


আরও পড়ুন: বর্ষায় কী করে ভাল রাখবেন আপনার সাধের প্রসাধনী! রইল টিপস


৯) অ্যাকসেসরি কিন্তু আপনার লুকসের একটা বড় অংশ। কম দামের অনেকগুলি ঘড়ি না কিনে একটি ভাল ঘড়ি ব্যবহার করুন। এখন মেটাল ফ্রেমের এভিয়েটরস চশমা বেশ ইন-ফ্যাশন। তবে, মুখ গোলের দিকে হলে ওয়েফেয়ারার্স বা ক্লাবমাস্টার শেপ নিন। সানগ্লাসের ক্ষেত্রেও মেনে চলুন এই নিয়ম।


১০) পুজোয় জামাকাপড়ের মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ জুতো। এখন ট্রেন্ড চাঙ্কি স্নিকার্স। অর্থাত্ বড় স্পোর্টি লুকের স্নিকার্স। সাদা, কালো ইত্যাদি রঙের জুতো সবরকম রঙের জামাকাপড়ের সঙ্গেই পড়তে পারবেন। সাদা জুতো বেশ স্টাইলিশ লাগে। রাস্তায় নোংরা হবে ভেবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নিয়মিত যত্ন করলে ও সাবধানে চললেই জুতো পরিস্কার থাকবে। আর পাঞ্জাবীর সঙ্গে পড়ার জন্য চামরার স্ট্র্যাপ অন একটা মাস্ট। আর অফিসের জুতোটা পুরোনো হয়ে গেলে কিনে নিন একটা ব্রাউন লোফার্স। তবে, চামড়ার জুতো পরলে তার সঙ্গে যেন বেল্টের রঙ ম্যাচ হয়, সে দিকে নজর রাখবেন।