ওয়েব ডেস্ক : মহাকাশের এক অনন্ত বিস্ময় ব্ল্যাকহোল। মহাকাশীয় এই দানবের কাছে পথ হারায় আলোকতরঙ্গ। নিকষ কালো অন্ধকার সংসার নিয়েই বেঁচে থাকে ব্ল্যাকহোল। মহাবিশ্বে,মহাকাশে,মহাকাল মাঝে...মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় মহাজাগতিক বিস্ময় ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ব্ল্যাকহোল কী?


ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর হল মহাকাশের এমন এক জায়গা যেখানে মহাকর্ষ এত শক্তিশালী যেখান থেকে আলোও বিচ্ছুরিত হতে পারে না। ভিতরের জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে মৃত্যু হয় তারাদের। সেইসময় মৃত তারার ভর আমাদের সূর্যের ভরের তিনগুণ হলে সেটা  ব্ল্যাকহোলে পরিণত হতে পারে। কয়েক লক্ষ সূর্যের ভরের সমান হতে পারে একটি ব্ল্যাকহোল। ১৯১৫ সালে আলবার্ট আইনস্টাইন  তার জেনারেল রিলেটিভিটি তত্ত্বের সাহায্যে প্রমাণ করেন যে মহাকর্ষের টানে আলোর গতিপথ প্রভাবিত হয়।


ব্ল্যাকহোলের জন্ম বৃত্তান্ত


কৃষ্ণগহ্বরের জন্ম ইতিহাস অনেকটা কবিতার মতো। একটি তারার মৃত্যু থেকে জন্ম নেয় একটি কৃষ্ণগহ্বর। ব্ল্যাকহোলে রয়েছে শক্তিশালী মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র। প্রত্যেক ব্ল্যাকহোলের চারদিকে একটি সীমা আছে যেখানে একবার ঢুকলে আর বেরনো যায় না। ব্ল্যাকহোলের কাছে গেলেই বিপদ। প্রবল মহাকর্ষীয় টানে কোনও তারা ব্ল্যাকহোলের কাছে এসে পড়লে  মহাকাশ দৈত্য গিলে খেয়ে নেয় সেই তারা। এইভাবেই মহাকাশের মহাবিস্ময় হয়ে বেঁচে আছে ব্ল্যাকহোল। একে নিয়েই চলছে বিজ্ঞানের নিরন্তর চর্চা। আলোকে গিলে খাওয়া এই মহাকাশীয় দানবকে নিয়ে তাই আজও কৌতূহলের শেষ নেই।