নিজস্ব প্রতিবেদন: কানে সারা ক্ষণ হেডফোন গুঁজে রাখলে, তা কানের কতটা ক্ষতি করে—এ সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা আমাদের অনেকেরই রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ ক্ষণ কানে হেডফোন গুঁজে রাখলে আমাদের শ্রবনশক্তি ক্রমশ দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তবে কয়েকটি নিয়ম মেনে হেডফোন ব্যবহার করতে পারলে শ্রবনশক্তি বাঁচানো সম্ভব। জেনে নেওয়া যাক হেডফোন ব্যবহারের এমন কয়েকটি কৌশল যেগুলি আপনার শ্রবনশক্তি বাঁচাতে সক্ষম...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১) একটানা ৩০ মিনিটের বেশি ইয়ারফোন বা হেডফোন ব্যবহার করবেন না। মোবাইলে কোনও সিনেমা দেখতে হলে ৩০-৪০ মিনিট পর পর মিনিট পাঁচেকের বিরতি নিন। এই মিনিট খানেক শ্রবনইন্দ্রিয়কে বিশ্রাম দিন।


২) ​যে সংস্থার মোবাইল ব্যবহার করছেন, ঠিক সেই সংস্থার, সেই মডেলটির ইয়ারফোনই ব্যবহার করুন। প্রতিটি মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারী সংস্থাই তাদের নির্দিষ্ট মোবাইল ফোনের জন্য নির্দিষ্ট ইয়ারফোন তৈরি করে। ফোন থেকে বেরনো রশ্মির তরঙ্গ, শব্দ তরঙ্গের কম্পন— ইত্যাদির উপর অঙ্ক কষেই ইয়ারফোনের তরঙ্গ, ক্ষমতা ইত্যাদি ঠিক করা হয়। তাই ইয়ারফোন খারাপ হলে নির্দিষ্ট মডেলের সঠিক ইয়ারফোন কিনে তবেই ব্যবহার করুন।


৩) হেডফোন বা ইয়ারফোনে কখনওই সর্বোচ্চ ভলিয়্যুমে কিছু শুনবেন না। এতে কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইয়ারফোনের মাধ্যমে এই আওয়াজ সরাসরি কানে প্রবেশ করে। তাই এ বিষয়ে বিশেষ ভাবে সচেতন থাকা জরুরি। প্রতিটি ফোনেই হেডফোনের ভলিয়্যুমের শ্রবনযোগ্য মাত্রা নির্দেশ করা থাকে। পারলে ওই নির্দেশ মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: গরমে ঘামাচির সমস্যায় জেরবার? জেনে নিন ৫টি অব্যর্থ সমাধান


৪) বাইরে বেরিয়ে গান শুনতে হলে, তা শুনুন বাসে, ট্রেনে উঠে বা কোনও এক জায়গায় বসে। রাস্তায় হাঁটার সময়, রাস্তা বা রেল লাইন পেরনোর সময় কখনওই হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করবেন না। গাড়ি বা বাইক চালানোর সময় কানে ইয়ারফোন লাগাবেন না। কারণ, এর ফলে আসে পাশের গাড়ির হর্ন আপনি শুনতে পাবেন না। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে।