নিজস্ব প্রতিবেদন: শিবরাত্রিতে, শ্রাবণ মাসের সোমবার তারকেশ্বরে শিবলিঙ্গে জল ঢালতে হাজির হন হাজার হাজার মানুষ। নিজের বা পরিবারের মঙ্গল কামনায় বর্তমানে সারা বছরই হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা তারকেশ্বরের মন্দিরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শোনা যায়, তারকেশ্বর মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বিষ্ণুদাস নামের এক শিবভক্ত। উত্তরপ্রদেশ থেকে এসে হুগলিতে বসবাস শুরু করেন তিনি।


লোককথা অনুযায়ী, বিষ্ণুদাসের ভাই দেখেন স্থানীয় জঙ্গলে একটি কালো পাথরের ওপর গরুরা নিয়মিত দুধ দান করে আসে। এই অদ্ভুত দৃশ্য দেখে সে তিনি কথা বিষ্ণুদাসকে জানান। আর এর পরই স্বপ্নাদেশে ওই পাথরটিকে শিবজ্ঞানে পুজো শুরু করেন বিষ্ণুদাস। গড়ে ওঠে শিব মন্দির। শিবের তারকেশ্বর রূপ অনুসারে এই মন্দিরের নামকরণ করা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বহুবার মেরামত আর পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে এই মন্দিরের। ১৭২৯ সালে মল্ল রাজারা মন্দিরটির সংস্কার করেন। তৈরি হয় একটি আটচালা মন্দির। বর্তমানে মন্দিরটিকে যে ভাবে দেখি, তা মল্লরাজাদেরই তৈরি।


আরও পড়ুন: তিন বছর অন্তর কবর থেকে তুলে প্রিয়জনকে শ্রদ্ধা জানানো হয় এখানে!


এই তারকেশ্বর মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে নানা জনশ্রুতি। শুধু মন্দিরকে ঘিরেই নয়, দুধপুকুরকে নিয়েও প্রচলিত রয়েছে নানা লোককথা ও বিশ্বাস। এখনও হাজার হাজার মহিলা সন্তান কামনায় বা সন্তানের মঙ্গল কামনায় তারকেশ্বর মন্দিরে ছুটে আসেন।