আমাদের জীবন নানা সমস্যায় ভরা। যেমন, গ্রহ শুভ ও অশুভ প্রভাব বিস্তার করে, তেমনই অশুভ বাস্তুর প্রভাবেও জীবনে উন্নতি ও বাধার সৃষ্টি হয়। নানা কারণে আমাদের মানসিক অশান্তি হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় গ্রহ দোষ না থাকলেও জীবনে বাধা বিপত্তি আসছে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে হস্তরেখা বিচার করলে এ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া সম্ভব।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যেমন, যদি শিরোরেখা ও হৃদয়রেখা সমান্তরাল হয়, তাহলে জাতক বা জাতিকা বন্ধুত্ব ও শত্রুতা আজীবন স্বীকার করে বা মনে রাখে। আবার ভগ্ন শিরোরেখার অর্থ, জাতক বা জাতিকার মাথায় কোনও চিন্তা খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। যে বয়সে এই রেখা ভগ্ন হয়, সেই বয়স থেকেই জাতক বা জাতিকা নানা মানসিক রোগের শিকার হতে পারে। কারণ, এটা একটা মানসিক অশান্তির লক্ষণ বা চিহ্ন।


১) যদি কোনও জাতক বা জাতিকার হৃদয়রেখা যদি শেষ প্রান্তে এসে দুটো ভাগে ভাগ হয়ে যায় এবং একটি বৃহস্পতির স্থানে এবং অন্যটি বৃদ্ধাঙ্গলির দিকে যায় তাহলে তার জীবন শান্তিপূর্ণ হয়। ওই জাতক বা জাতিকা উদার ও চিন্তাশীল প্রকৃতির হয়ে থাকে।


২) যদি এই রেখা দুটো ভাগে ভাগ হয়ে একটি বৃহস্পতির দিকে ও অন্যটি শনির দিকে যায়, তাহলে জাতক বা জাতিকা স্নেহপ্রবণ প্রকৃতির হয়ে থাকে। প্রেমের ক্ষেত্রে মাঝে মধ্যেই আঘাত পায়।


৩) যদি শিরোরেখাতে চতুষ্কোণ চিহ্ন থাকে, তাহলে তা শুভ। ওই সময়ে জাতক বা জাতিকা সব বাধা বিপত্তি থাকে নিষ্কৃতি পেতে পারেন। আবার এক বা একাধিক রেখা ওই রেখাকে কেটে চলে যাওয়া অশুভ লক্ষণ। যে বয়সে শিরোরেখার উপর দিয়ে এক বা একাধিক রেখা কেটে চলে যায়, ওই বয়সে জাতক বা জাতিকার নানা মানসিক চাঞ্চল্য ও তার ফলে আর্থিক ক্ষতি, শোক, আঘাত, অসুস্থতা বা মানসিক অশান্তির কারণ হতে পারে।