নিজস্ব প্রতিবেদন: এখন বিয়ের মরসুম চলছে। পাড়ার ওলিতে-গলিতে হয় সানাই, নয়তো ফিল্মি গানের রেকর্ড বাজছে। আলোয় সেজে উঠেছে বিয়েবাড়িগুলো। এ মাসে দু’-একটা বিয়ের নিমন্ত্রণ হয়তো আপনিও পেয়েছেন! আর যদি আপনি নিজেই বিয়ের বাঁধনে সদ্য বাঁধা পড়েছেন বা পড়তে চলেছেন, তাহলে তো কথাই নেই! তবে ভারতীয় বিয়ের একটা রীতির কথা আপনি জানেন নিশ্চয়ই! বিশেষত, উত্তর ভারত-সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ফুলশয্যার রাতে নব বর-বধূর জন্য এক গ্লাস জাফরান-দুধ দেওয়ার একটা রীতি বহুযুগ ধরে চলে আসছে। যাঁরা এখনও অবিবাহিত, তাঁরাও আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের বিয়েতে এ রীতি পালন করতে দেখে থাকবেন। আর যদি সে সুযোগ না পেয়ে থাকেন, তাহলে অন্তত সিনেমার পর্দায় এ দৃশ্য বহুবার দেখেছেন, এ কথা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। কিন্তু কেন হিন্দু বিয়েতে ফুলশয্যার রাতে নব বর-বধূর এই জাফরান-দুধ খাওয়ার চল? এটা কি নিছকই একটা কুসংস্কার বা সামাজিক রেওয়াজ, নাকি এর পেছনে কোনও নির্দিষ্ট কারণও রয়েছে!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: এক প্যাকেট কন্ডোমের দাম ৫৭,০০০ টাকা! তা-ও কিনতে লম্বা লাইন!


বিজ্ঞানিক বিশ্লেষণ নির্ভর বর্তমান যুগে একাধিক ভারতীয় প্রাচীন রীতি, রেওয়াজের পেছনেই সঙ্গত বৈজ্ঞানিক যুক্তি ও ব্যাখ্যা মিলেছে। ফুলশয্যার রাতে জাফরান-দুধ খাওয়ার রীতির পেছনেও রয়েছে সঙ্গত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। জাফরান (কখনও এর সঙ্গে আমন্ডও মেশানো থাকে) মেশানো এই দুধে থাকে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন যা দেহের সেক্স হরমোনগুলিকে উদ্দীপিত করে। জাফরান শরীরে রক্ত সঞ্চালনের গতি বাড়িয়ে দেয়। ফলে জেগে ওঠে কামেচ্ছা। তাছাড়া, জাফরান ও আমন্ড দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে টেস্টস্টেরন, ইস্ট্রোজেনের (সেক্স হরমোন) ক্ষরণের মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। জেগে ওঠে সঙ্গমের ইচ্ছা।


তাই বিয়ের প্রথম রাতে নবদম্পতিকে জাফরান-দুধ বা জাফরান, আমন্ড মেশানো দুধ খাওয়ানোর রেওয়াজ অতি প্রাচীন কাল থেকেই রয়েছে হিন্দু রীতির বিয়েতে।