দিন বদলায়, বদলে যান দেশের প্রধানমন্ত্রীও, দফতরে শুধু থেকে যায় ল্যারি
অনেকের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের আরামের চাকরিতে ইদানিং একটু কুঁড়ে হয়ে গিয়েছে ল্যারি!
নিজস্ব প্রতিবেদন: বদলে যান দেশের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দফতরে নিজের কাজ একই ভাবে করে চলেছে ল্যারি। বিপুল জনপ্রিয়তা এবং কর্তব্যের প্রতি নিষ্ঠা— এই দুই কারণে তার বিকল্প খোঁজার কথা এখনও ভাবেনি প্রধানমন্ত্রীর দফতর। বিগত কয়েক বছরে ছাঁটাই হয়েছেন অনেকেই। কিন্তু ছাঁটাইয়ের আঁচ ল্যারিকে ছুঁতে পারেনি আজও। স্বাধীন ভাবে নিজের কাজ নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত থাকে গম্ভীর স্বভাবের ল্যারি।
ভাবছেন, কে এই ল্যারি? আসলে ল্যারি ব্রিটেনের ‘চিফ মাউসার’। অর্থাত্, ইঁদুর ধরার কাজে সরকারি ভাবে নিযুক্ত প্রধান বিড়াল। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বাসভবনে ইঁদুর ধরার জন্য দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী 'ল্যারি দ্য ক্যাট'।
সম্প্রতি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন বরিস জনসন। ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রীর দফতর ঢেলে সাজানোর ব্যবস্থা করেন তিনি। সেই সময়েই ছাঁটাই হয় অনেকের। বেশ কয়েকজন নতুন কর্মীও নিযুক্ত করা হয়। সেই সময়েই আশঙ্কা করা হয়েছিল, এ বার হয়তো বাদ পড়বে ল্যারিও। কিন্তু সব আশঙ্কা মিথ্যে প্রমাণ করে দিয়ে নিজের কাজে একই ভাবে বহাল রয়েছে ল্যারি।
তবে অনেকের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের আরামের চাকরিতে ইদানিং একটু কুঁড়ে হয়ে গিয়েছে ল্যারি! গুঞ্জন, দিনের বেশির ভাগ সময়টাই শুয়ে-বসে কাটায় সে। ইঁদুরের পেছনে তেমন ছোটাছুটি করা হয় না আজকাল। কিন্তু যে যাই বলুক, ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যমের কাছে এখনও সমান জনপ্রিয় ল্যারি।
আরও পড়ুন: গাধার কীর্তি: দ্য লায়ন কিং-এর ‘সার্কেল অব লাইফ’ গানে গলা মেলাল গাধা!
তবে, সরকারি বাসভবনে ইঁদুর ধরতে বিড়াল নিয়োগ করার প্রথা নতুন নয়। কয়েকশো বছর ধরেই চলে আসছে এই প্রথা। তবে এই পদের আগে কোনও স্বীকৃতি পেত না মার্জারকুল। ২০১১ সালে ব্রিটেনের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে চিফ মাউজার পদে ল্যারিকে নিয়োগ করেন। তারপর থেকে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক ভবন থেকে শোওয়ার ঘরে অবাধ যাতায়াত ল্যারির।