নিজস্ব প্রতিবেদন: সুন্দর মেদহীন শরীর কে না চায়? তবে এখনকার ফাস্ট ফুডের যুগে স্লিম ফিগার পাওয়া বেশিরভাগ মানুষের কাছে স্বপ্নের মতো। ব্যস্ত লাইফস্টাইলে অল্প বয়সেই এসে যায় স্থুলতার সমস্যা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভুঁড়ির সমস্যা স্বাস্থ্যের পক্ষেও বেশ ক্ষতিকর। অতিরিক্ত মেদের ফলে বাড়তে পারে ডায়েবিটিস, প্রেশার, কোমর ও হাঁটুর ব্যাথার মতো সমস্যা। তা ছাড়া অল্প কাজকর্মেই বুক ধরপর, ক্লান্তি, অনিদ্রা, শ্বাসকষ্টের মতো বহু শারীরিক সমস্যার সঙ্গেও অতিরিক্ত ওজন প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। 


ভুঁড়ি হওয়ার কারণ কি?
আমরা সারাদিন যে খাবার খাই, তা থেকে আমাদের শরীরে কাজকর্ম করার শক্তি আসে। তবে এখনকার ব্যস্ত লাইফস্টাইলে বেশিরভাগ আমরা সময়েই উচ্চ ক্যালোরি-যুক্ত খাবার খেয়ে ফেলি। অথচ সারাদিন অফিসে বসে কাজ করা এবং শারীরিক কসরত না করার ফলে সেই ক্যালোরি খরচ হয় না। এর ফলে সেই অতিরিক্ত খাবার, ফ্যাট বা গ্লুকোজ-এর আকারে শরীরে জমে যায়। 


আরও পড়ুন: ঘামাচিতে জেরবার? জেনে নিন সহজ ঘরোয়া প্রতিকার
অনেক চেষ্টা করে, জিম গিয়ে এবং ডায়েট কন্ট্রোল করলেও অনেক সময় ভুঁড়ি কমতে চায় না। এর পেছনে থাকে কিছু ধারণাগত গলদ। তা ছাড়া জিন বিশেষে বা হরমোনগত সমস্যার কারণে অনেক সময়েই ওজন কমানো কঠিন হয়ে ওঠে। 
কিন্তু, চিন্তা নেই। সহজ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতেই কমতে পারে ওজন।


জেনে নিন বাড়িতে সহজেই ভুঁড়ি কমানোর টিপস্:
১) মেদহীন সুস্থ শরীরের মূল শর্ত বলে গেছেন ফেলুদা নিজেই। "পরিমিত আহার, নিয়মিত ব্যায়াম"-এর কোনও বিকল্প নেই। 
২) খাওয়ার সময়ে পেটে একটু জায়গা রেখে খান। খাবার ভালো হজম হবে। অতিরিক্ত ক্যালোরির সমস্যাও হবে না।
৩) সারাদিনের খাবারের প্রোটিনের পরিমাণ রাখুন বেশি। ছোটো মাছ, চিকেনের ব্রেস্ট পিস খান। খাবারের পাতে রাখুন প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ও ফল।
৪) বাড়িতে রান্না করা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। অতি রিক্ত তেল-মশলা, ঘি-মাখন এড়িয়ে চলুন। রেড মিট নৈব নৈব চ। ফাস্ট ফুড, ডিপ-ফ্রাই করা খাবার, আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিংক্স, অ্যালকোহল না খাওয়াই ভালো। বদলে স্ন্যাক্স হিসাবে খান ফল, গ্রিলড্ খাবার, চাট, স্যালাড, আমন্ড, টক দই। 
৫) ভাত, ময়দা, চিনি কম খান। পারলে ঢেঁকি-ছাঁটা চালের ভাত খান। আটার রুটি খান। চা-কফিতে চিনি খাওয়া ছেড়ে দিন।
৬) ব্যস্ততার মাঝে জিম যাওয়ার সময় না পেলেও অসুবিধা নেই। বাড়িতেই করুন শরীরচর্চা। রোজ সকালে উঠে আধ ঘন্টা রাখুন নিজের জন্য। স্কিপিং, বুক ডন, বৈঠক, পুল-আপের মতো খালি হাতে ব্যায়াম করুন। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও নির্দ্বিধায় করতে পারেন এই এক্সারসাইজ-গুলি। তবে ব্যায়াম শুরুর আগে কোনও শরীরচর্চা বিশেষজ্ঞের থেকে সঠিক ফর্ম অবশ্যই জেনে নেবেন। ব্যায়ামের আগে ওয়ার্ম-আপ এবং শেষে স্ট্রেচ অবশ্যই করবেন। 
৭) মেদ কমাতে না খেয়ে খালি পেটে থাকেন অনেকে। সেটি খুবই ভুল ধারণা। অল্প অল্প পরিমাণে বারে বারে খান। নয় তো হিতে বিপরীত হবে।


তবে, শরীরের সুস্থতার সঙ্গে মনের আনন্দও গুরুত্বপূর্ণ। মাসে দুই দিন চিট ডে রাখুন। প্রাণ ভরে ইচ্ছা মতো খান।