জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মহাশিবরাত্রি মানেই পুজোর তালিকায় থাকলে বিল্বপত্র অর্থাৎ বেলপাতা। এই পাতা নাকি শিবকে শান্ত করে। শিবলিঙ্গে বেল পাতা অর্পণ করলে মহাদেব প্রসন্ন হন। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বেল পাতা ছাড়া শিবের পুজো সম্পূর্ণ হয় না। প্রতি মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীতে মাসিক শিবরাত্রির ব্রত  রাখা হয়। মহাশিবরাত্রি ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীতে পালিত হয়। এবার মহাশিবরাত্রি পড়েছে ১ মার্চ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Kaal Sarp Dosh: আপনি কি কালসর্প দোষে আক্রান্ত? তা হলে এই মহাশিবরাত্রিটি মিস করবেন না...


এই দিনে শিব ভক্তরা ভগবানকে বেল পাতা নিবেদন করেন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে বেল পাতা দিয়ে ভগবানের পূজা করা তাঁর ভক্তদের জন্য প্রচুর আশীর্বাদ নিয়ে আসে। শাস্ত্রে বেল পাতা ভেঙে অর্ঘ করার কিছু নিয়ম বলা হয়েছে। হিন্দু ধর্মের তিনটি প্রধান দেবতার প্রতিনিধিত্ব করে – ভগবান ব্রহ্মা, ভগবান বিষ্ণু এবং ভগবান শিব। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, তাঁকেই সমগ্র মহাবিশ্বের স্রষ্টা বলে মনে করা হয়। 


বেলপাতার গুরুত্ব কী? কথিত,মহাদেব সমুদ্র মন্থনের সময় বিষ পান করলে এর প্রভাবে তার শরীর জ্বলতে থাকে। বিষের প্রভাব কমাতে বেল পাতার রস মহাদেবকে দেওয়া হয় এবং এর ছাল ঘষে গুঁড়ো করে শরীরে লাগানো হয়। বেলের বাকল চন্দনের মতো শীতল। মহাশিবরাত্রিতে ভগবান শিবকে নিবেদন করা অপরিহার্য জিনিসগুলির মধ্যে একটি হল বেল পাতা। ভক্তরা মহাশিবরাত্রিতে ভগবান শিবকে বেল পাতা নিবেদন করে। এই পাতাগুলি মহামৃত্যুঞ্জয় জপ সহ অন্যান্য শিব মন্ত্রের সঙ্গে শিবলিঙ্গে নিবেদন করা হয়।


তবে মহাদেবকে বেলপাতা অর্পণ করার বেশ কয়েকটি নিয়ম রয়েছে- তিনটি পাতার বিল্বপত্র নিবেদিন করা বাঞ্ছনীয়। শুকিয়ে যাওয়া বা খুঁত যুক্ত বেলপাতা না দেওয়াই ভালো। পুজোর সময় বেলপাতা না থাকলে, আগে নিবেদিত পাতা ধুয়ে শিবলিঙ্গে অর্পণ করুন।  তবে  চতুর্থী, অষ্টমী, নবমী, চতুর্দশী এবং অমাবস্যা তিথি, সংক্রান্তি এবং সোমবারে বেলপাতা একেবারে ভাঙা উচিত নয়। 



আরও পড়ুন, Vijaya Ekadashi: এই একাদশীর উপবাস করলে জীবনের যে কোনও ক্ষেত্রেই জয় সুনিশ্চিত...


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)