ওয়েব ডেস্ক: অফিসে টেনশন। বাড়িতে টেনশন। টেনশন থেকে স্ট্রেস। নিটফল রোগ আর ভূরি ভূরি ওষুধ। টেনশন আর চাপ কাটাতে চান? উত্তর আপনার আঙুলের ডগায়। মন ভরে রং করুন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ছবি আঁকার খাতা রঙে ভরিয়ে দিয়ে সেরার শিরোপা জিতে নিয়েছিল ঈশান নন্দকিশোর অবস্তি। একটু একটু করে ফিকে হওয়ার ইঙ্গিত দেয় জীবনের ধূসরতা।


কিন্তু বাস্তবের ছবিটা আলাদা। গতিময় জীবনে এখন বড়বেলায় আঁকার খাতায় ধুলো জমে, কাজের চাপে হারিয়ে যায় জীবনের সব রং।


স্ট্রেস কমিয়ে কীভাবে আবার ফিরিয়ে আনবেন জীবনের রূপ, রস, গন্ধ? তাক থেকে আবার নামান সেই ধুলোপড়া খাতা। খুঁজে বের করুন রংপেন্সিলগুলো। তুলির ছোঁয়ায় সাদা ক্যানভাস ফের রাঙিয়ে তুলুন।


বিশেষজ্ঞদের দাবি, আঁকাআঁকিতে কেবল মানসিক চাপকে আপনি বিদায় বলবেন না, আপনার সৃজনশীল ও কল্পনাপ্রবণ মনও চিন্তার খোরাক পাবে। যোগব্যায়ামের সঙ্গে রং করাকে তুলনা করছেন তাঁরা। মানসিক শান্তি বজায় রাখতে এর তুলনা নেই। কারণ, রং করার সময় আপনার মনোযোগ দিতে হয় এমন একটা কিছুতে, যার সঙ্গে রোজকার কর্মব্যস্ত জীবনের কোনও সম্পর্ক নেই। 


মস্তিষ্ক ঠিক এভাবেই কাজ করে। গ্রে এরিয়া, কাজ করার ইচ্ছা, ভালবাসা, বিরক্ত হওয়ার ক্ষমতা, অন্ধকার দিকগুলো ঠিক এভাবেই ছড়িয়ে রয়েছে মস্তিষ্ক জুড়ে। আলস্য, গোধূলি এলাকা, কুঁকড়ে থাকা এলাকা।


ছবি আঁকলে, রং করলে মস্তিষ্ক উদ্দীপ্ত হয়। কল্পনাশক্তি বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে ক্রিয়েটিভিটি, কাজ করার ইচ্ছা ফের জেগে ওঠে। মন চাঙ্গা হয়।


বিশেষজ্ঞদের দাবি, ছবি আঁকলে, রং করলে সৃজনশীলতার উন্নতি হয়। স্মৃতিশক্তি বাড়ে, কমিউনিকেশন স্কিল আরও উন্নত হয়। চটজলদি কোনও সমস্যা সমাধানের রাস্তা খুঁজে পাওয়া যায়। স্ট্রেস কমায়, নেগেটিভ আবেগ দূর করে। আশাব্যাঞ্জক অনুভূতি ও আরও খুশি হওয়ার অনুভূতি বেড়ে ওঠে। বোঝার ক্ষমতা বাড়ে। দ্রুত যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বাড়ে। পর্যবেক্ষণ ক্ষমতাও বেড়ে যায়। তাই ব্যস্ত রোজনামচায় একটু সময় বের করতেই হবে। টেনশন দূর করতে হাতে তুলে নিতেই হবে রং-তুলি-ক্যানভাস।