Mother`s Day: মাতৃদিবস! একরাশ আলো, এক-আকাশ মুক্তি, জীবনজোড়া দিগন্ত...
Mother`s Day, Mothering Sunday: আজ, ১৪ মে সেই দিন। আজ মাকে বা মাতৃসমাকে শ্রদ্ধা নিবেদনের দিন, ভালোবাসা জানাবার দিন। কেননা আজ মাতৃদিবস। মা মানেই একরাশ আলো, এক-আকাশ মুক্তি, জীবনজোড়া খোলা দিগন্ত।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মা মানেই একরাশ আলো, এক-আকাশ মুক্তি, জীবনজোড়া খোলা দিগন্ত। সব দেশে সব জাতিই মাকে নিয়ে খুব বেশি প্রাণিত, দ্য়োতিত, আলোড়িত। সেটাই তো স্বাভাবিক। এর মধ্যে ভারতীয় এবং বিশেষ করে বাঙালিরা যেন মাকে নিয়ে খুব বেশি আবেগপ্রবণ। গোটা বঙ্গসংস্কৃতির মধ্যে মাতৃতান্ত্রিকতার নানা মুখ, নানা রং, নানা পরত। এমন একটা বড় আকারের বিষয়ের কোনও উদযাপন দিন থাকবে না!
আরও পড়ুন: New Jersey: মহাকাশ থেকে বাড়ির ছাদ ভেঙে ঘরে এসে পড়ল এ কী রহস্যময় বস্তু!
হয়তো বিষয়টি নিয়ে তাই ভেবেছে সারা বিশ্বই। চিহ্নিত করা হয়েছে মাতৃদিবস। আজ, ১৪ মে সেই দিন। আজ মাকে বা মাতৃসমাকে শ্রদ্ধা নিবেদনের দিন, ভালোবাসা জানাবার দিন। আজ মাতৃদিবস। বিশ্ব জুড়ে ভিন্ন ভিন্ন দিনে মানা হলেও মোটের উপর মে মাসে দ্বিতীয় রবিবারটিই মাতৃদিন হিসেবে পালিত হয়।
তবে মাতৃদিবস যে আধুনিক পৃথিবীরই বিষয়, তা কিন্তু নয়। দেখতে গেলে মাতৃদিবসের শুরু সেই গ্রিক ও রোমক যুগেই। মাতৃদেবী রেহা বা সিবিলির আরাধনার মধ্যে দিয়েই হয়তো শুরু হয়েছিল মাতৃদিবসের আরাধনা।
আরও পড়ুন: Cyclone Mocha: ভয়ংকর! ঘণ্টায় ২৩০ কিমি গতিতে তাণ্ডব চালাবে এই ঘূর্ণিঝড়...
আধুনিক কালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ শতকের গোড়ায় মাতৃদিবস উদযাপনের শুরু। শুরু করেছিলেন আন্না জার্ভিস। তাঁর মাকে সম্মানিত করতে। তবে অফিশিয়ালি দিনটি প্রথম স্বীকৃত হয় ১৯১৪ সালে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৮ তম প্রেসিডেন্ট উডরো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারটিকে মাতৃদিন উদযাপনের দিন হিসেবে স্থির করা হোক এমন একটি আবেদনে সিলমোহর দিয়েছিলেন।
কিন্তু মা তো হাটের মাঝের বস্তু নন। মা বড় একান্ত, বড় আপন। তাই দেখানে-উদযাপনের মধ্যে দিয়েই সব অনুভূতিটা ব্যক্ত হয় না। সব ব্যক্তিগত তো সর্বজনীন হয় না। তাই হয়তো বাংলা সাহিত্যে, বাংলা সিনেমায় মাতৃমূর্তির এমন করুণ একক নির্জন গভীর রূপ। সাহিত্যে মা বললেই যেমন বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালী অপরাজিত-র সর্বজয়ার চরিত্রটির কথা মনে না পড়ে পারে না, তেমনই হয়তো চলচ্চিত্ররসিকদের কাছে এই চরিত্রটির ফিল্মি চিত্রায়ণও স্মরণীয় হয়ে রয়ে গিয়েছে।