হিলারি স্টেপ ধ্বংস, আরও দুরূহ এভারেস্ট জয়
ওয়েব ডেস্ক: এভারেস্টে কেন বাড়ছে মৃত্যুমিছিল? সাউথ সামিট থেকে চূড়ায় পৌছনোর আগে হিলারি স্টেপই নাকি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ফলে, ঘুরপথে চূড়ায় পৌছতে আরও বিপদসঙ্কুল হয়ে পড়েছে এভারেস্ট। সে কারণেই এই মৃত্যুমিছিল। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন ব্রিটিশ পর্বতারোহী টিম মসডেল।
সুন্দর। কিন্তু ভয়ঙ্কর। পদে পদে মৃত্যুর হাতছানি। বরফের সাম্রাজ্য জয় করার নেশায় বিপদের এই পথেই পা রাখেন ওঁরা। কেউ বিপদকে জয় করেন। কেউ চলে যান ভয়ঙ্কর সুন্দরের অন্তরালে। আর কোনওদিন তাঁদের খোঁজ মেলে না। মৃত্যুমিছিল। তবুও ওই পথেই চলে মিছিল। এভারেস্ট জয়ের হাতছানিতে এই মিছিলেরই সঙ্গী হন গৌতম ঘোষ, পরেশ নাথ, সুভাষ পাল। আর ফেরেননি। বরফের বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন। আর ওঠেননি। মৃত্যুমিছিলের যাত্রী হন আমেরিকার রোনাল্ড ইয়ারউড, অস্ট্রেলিয়ার ফ্রান্সেসকো মার্চেট্টি, স্লোভাকিয়ার ভ্লাদিমির স্ট্রাবার। কিন্তু কেন এই মৃত্যুমিছিল? কেন বেড়ে চলেছে এভারেস্টে মৃতের সংখ্যা? চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন ব্রিটিশ পর্বতারোহী টিম মসডেল।
২০১৫-র এপ্রিলে নেপালের ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে ১২ মিটার লম্বা পাথুরে চাতাল এই হিলারি স্টেপই সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায় বলে দাবি টিমের। ১৬ মে এভারেস্ট জয় করে ফিরে তিনি এই ঘটনাকে ব্যাখ্যা করেন একটি যুগের অবসান হিসাবে। হিলারি স্টেপ ধ্বংস হওয়ার ফলে সাউথ সামিট থেকে চূড়ায় পৌছতে আরও বিপদসঙ্কুল হয়ে পড়ে পথ। ঘুরপথে পৌছতে হয় এভারেস্টের চূড়ায়। স্যর এডমন্ড হিলারির নামে নামকরণ হয় এই হিলারি স্টেপের। তেনজিং নোরগেকে সঙ্গী করে ভয়ঙ্কর বিপদসঙ্কুল পথে এভারেস্টের চূড়ায় পৌছন হিলারি। পর্বতারোহীরা বলেন, পাথুরে খাড়া দেওয়ালের চেয়ে বরফ ঢাকা গড়ানো পথ অনেক বেশি সহজ। পাথুরে দেওয়াল বেয়ে উঠতে সময় তো নেয়ই, দুরূহও বটে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় তাঁদের। কমে আসতে থাকে অক্সিজেন। ফ্লস্টবাইটের কবলে পড়তে হয়। টিম মসডেলের দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে এটা বলাই যায় যে, এভারেস্টে অপেক্ষা করে রয়েছে আরও মৃত্যু।