এখানে মেট্রো রেলে প্যান্ট না পরে সফর করাটাই নিয়ম!
মানুষকে নিখাদ আনন্দ দেওয়াই এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলেও কিছু সামাজিক ও মানবিক দায়িত্বও পালন করা হয় এর মাধ্যমে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: টিকিট কেটে মেট্রো রেলে চড়লেন আর চড়েই ‘চক্ষু চড়কগাছ’! এ কী, কেউ প্যান্ট পরেনি কেন? ভাবছেন এ-ও আবার হয় নাকি! হয় বইকি। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১২টি দেশে টিউব রেল বা মেট্রো রেলে চড়লে এমন দৃশ্য চখে পড়তেও পারে। ‘নো প্যান্টস সাবওয়ে রাইড’ নামের একটি বিশেষ উদ্যোগে সামিল হতে চাইলে যাত্রীদের ট্রাউজার খুলে টিউব রেল বা মেট্রো রেলে যাত্রা করতে হয়।
আজ থেকে ১৭ বছর আগে, ২০০২ সালে নিউ ইয়র্কে প্রথম চালু হয়েছিল এই ‘নো প্যান্ট সাবওয়ে রাইড’। সেখানকার একটি কমেডি পারফরম্যান্স আর্ট গ্রুপ ‘ইমপ্রুভ এভরিহয়্যার’ উদ্যোগে এই ‘নো প্যান্ট সাবওয়ে রাইড’-এর সূচনা হয়। ‘ইমপ্রুভ এভরিহয়্যার’-এর এই উদ্যোগে সে বছর প্রায় ১৫০ জন অংশ নিয়েছিলেন এই কর্মসূচিতে। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য ছিল নিত্যযাত্রীদের দৈনন্দিন জীবনের একঘেয়ে পরিস্থিতি থেকে বের করে কিছু ক্ষণের জন্য একটু চমক দেওয়া, একটু হাসি-ঠাট্টার রসদ যোগানো। এর পর থেকেই সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ‘নো প্যান্ট সাবওয়ে রাইড’-এর ভাবনা। বর্তমানে বার্লিন, বস্টন, প্রাগ, পোল্যান্ড, ফিলাডেলফিয়া-সহ বিশ্বের প্রায় ১২টি দেশে পালিত হয় এই ‘নো প্যান্ট সাবওয়ে রাইড’ কর্মসূচি। ২০১৬ সালে এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে মস্কোও।
আরও পড়ুন: এই রেস্তোরাঁয় খাবার একেবারে ফ্রি! তবে দিতে হবে সময়ের দাম!
মানুষকে নিখাদ আনন্দ দেওয়াই এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলেও কিছু সামাজিক ও মানবিক দায়িত্বও পালন করা হয় এই এই ‘নো প্যান্ট সাবওয়ে রাইড’-এর মাধ্যমে। যেমন ফিলাডেলফিয়ায় ‘নো প্যান্ট সাবওয়ে রাইড’-এ অংশগ্রহণকারীরা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে নিজেদের ট্রাউজার খুলে ফেলেন। পরে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে ওই ট্রাউজারগুলি দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।