`প্যান্ট-শার্ট পরলেই পুরুষদের মত আচরণ করতে শুরু করে নারীরা`
তথাকথিত পুরুষ সমাজে নারীর প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিচার সর্বদাই হয়ে আসছে `পুরুষের মানদণ্ডে`। সমাজ বদলাছে ঠিকই তবে আদি ভাবধারা থেকে এখনও পুরোপুরি সরে আসতে পারেনি আধুনিক সমাজ। ভারতের মত একটা আধা সামন্ততান্ত্রিক গণতন্ত্রের দেশে সমস্যাটা যেন আরও প্রকট। উন্নতশীল দেশ ভারতের একাংশ এখনও দাবি করে ধর্ষণের কারণ নারীর জামা কাপড়ই। পোশাক পরিচ্ছদ দিয়েই বিচার হয় নারীর ভাবনা চিন্তা। মাইক্রো কিম্বা মিনি স্কার্টের কোনও জঙ্ঘা দেখলে চোখ ছানাবড়া করা পুরুষই ফলাও করে বলে এই দেখো পশ্চিমীর কী প্রভাব, `সব অপসংস্কৃতি`।
ওয়েব ডেস্ক: তথাকথিত পুরুষ সমাজে নারীর প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিচার সর্বদাই হয়ে আসছে 'পুরুষের মানদণ্ডে'। সমাজ বদলাছে ঠিকই তবে আদি ভাবধারা থেকে এখনও পুরোপুরি সরে আসতে পারেনি আধুনিক সমাজ। ভারতের মত একটা আধা সামন্ততান্ত্রিক গণতন্ত্রের দেশে সমস্যাটা যেন আরও প্রকট। উন্নতশীল দেশ ভারতের একাংশ এখনও দাবি করে ধর্ষণের কারণ নারীর জামা কাপড়ই। পোশাক পরিচ্ছদ দিয়েই বিচার হয় নারীর ভাবনা চিন্তা। মাইক্রো কিম্বা মিনি স্কার্টের কোনও জঙ্ঘা দেখলে চোখ ছানাবড়া করা পুরুষই ফলাও করে বলে এই দেখো পশ্চিমীর কী প্রভাব, 'সব অপসংস্কৃতি'। এই ধ্যানধারনায় এবার আরও এক বিতর্ক জুড়ে দিলেন মুম্বইয়ের বান্দ্রা অঞ্চলের পলিটেকনিক কলেজের অধ্যাপিকা শ্রীমতি স্বাতী দেশপান্ডে। "যখন মেয়েরা পুরুষের মত পোশাক পরেন, তখন তারা পুরুষের মতই ভাবেন। তখন একজন মহিলার মস্তিষ্কে লিঙ্গ ভূমিকাটাই উল্টে পাল্টে যায়। আর এই কারণেই কম বয়সী মেয়েদের মধ্যে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান রোগের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়", পোশাক ফতোয়া জারি করে এই মতই ব্যক্ত করেছেন পলিটেকনিক কলেজের অধ্যাপিকা শ্রীমতি স্বাতী দেশপান্ডে।
বান্দ্রার পলিটেকনিক কলেজে এখনও পর্যন্ত শার্ট এবং প্যান্ট এই ইউনিফর্মই রয়েছে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর জন্য। তবে ইউনিফর্মিটি পরিবর্তন করে ছাত্রীদের জন্য চুড়িদার ইউনিফর্ম প্রচলন করার কথা ভাবছেন মুম্বইয়ের বান্দ্রার সরকারি পলিটেকনিক কলেজের অধ্যাপিকা স্বাতী দেশপান্ডে।