এই যোগে জন্ম হলে দরিদ্র হওয়াই দস্তুর, তবে প্রতিকারও আছে; জেনে নিন, কী ভাবে বদলাবেন ভাগ্য...
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, শনি ও রাহুর সংমিশ্রণের কারণে কুণ্ডলীতে একটি অভিশপ্ত যোগ তৈরি হয়। তবে এর থেকে বাঁচার রাস্তাও আছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়, যখনই কোনো নবজাতকের জন্ম হয়, তার জন্মকুণ্ডলীতে একই সঙ্গে শুভ ও অশুভ উভয়যোগই থাকে। আর জন্মকুণ্ডলীতে প্রকট এই যোগগুলির প্রভাব সারা জীবন ধরে থাকে। ক্রমশ শিশু থেকে কৈশোর, যৌবন যত কাটে তত এই কুণ্ডলীর প্রভাব প্রত্যক্ষ দেখা যায় সেই ব্যক্তির জীবনে।
বেশ কিছু অশুভ যোগের মধ্যে কুণ্ডলীর অন্যতম অশুভ যোগ হল শাপিত যোগ। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, যাদের কুণ্ডলীতে এই যোগ আছে, তাঁদের জীবন জুড়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই যোগে দুষ্ট যাঁদের কুণ্ডলী তাঁরা কোনও দিনই ভাগ্যের সহায়তাও সেভাবে পান না।
আরও পড়ুন: জেনে নিন কোন সুন্দরীর কোথায় তিল আর কী তার অর্থ...
মূলত দুটি গ্রহের মিলনে এই শাপিত যোগ নামের এই অশুভ যোগ তৈরি হয়:
জ্যোতিষ অনুসারে, রাহু ও শনির মিলনে জন্মকুণ্ডলীতে এই অভিশপ্ত দোষ তৈরি হয়। জ্যোতিষীরা এ বিষয়ে আরও একটি কথা বলেন-- এই যোগ বিভিন্ন বাড়িতে বিভিন্ন রকম ফল দেয়।
আরও পড়ুন: Aadhaar Card: আধার সম্পর্কে বড় আপডেট, না জানলে বিপদ আপনারই...
রাহু ও শনি যদি কারও কুণ্ডলীতে দুর্বল হয়, তবে তাঁর জন্মকুণ্ডলীতে এই যোগ থাকলে তার ফল অত্যন্ত খারাপ দিকে যায়। একইসঙ্গে বলা হয়, পূর্বজন্মে খারাপ কাজের কারণেও অনেক মানুষকে এই দোষের সম্মুখীন হতে হয়।
জীবনের উপর এই প্রভাব
জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়েছে, যাঁর কুণ্ডলীতে এই যোগের অভিশাপ রয়েছে, তাঁকে তাঁর জীবনে নানা আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ব্যবসায় সফলতা নেই। শুধু তাই নয়, এই সব ব্যক্তির দাম্পত্যজীবনেও নানা দ্বন্দ্ব লেগে থাকে। এর সঙ্গে যদি কোনও ব্যক্তির কুণ্ডলীর দশম ঘরে এই যোগ তৈরি হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি বহুবার চাকরি হারাতে পারেন। দ্বাদশ ঘরে তৈরি হলে কারাগার পর্যন্ত হতে পারে।
১) প্রতি সোমবার দুধ, দই ও মধু দিয়ে শিবের অভিষেক করুন।
২) পাখিদের কালো ও সবুজ দান খাওয়ান।
৩) শনি ও রাহুর মন্ত্র জপ করুন।
৪) কালো কুকুরকে ঘি ভরা রুটি খাওয়ালেও এই দোষ দূর হয় বা এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমে।
৫) প্রতি শনিবার শনি চালিসা পাঠ করলেও শুভ ফল পাওয়া যায়। শনি মূর্তির সামনে সরষের তেলের প্রদীপ জ্বালালেও উপকার হয়।
(লেখাটি সাধারণ বিশ্বাস এবং প্রচলিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে রচিত। জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো এ ধরনের কোনও নির্দেশ দিচ্ছে না।)