স্বরূপ দত্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভোট ভোট উত্সব শেষ।
গণতন্ত্র আহা বেশ বেশ।
চার দিন বাদে মা দুর্গা চলে গেলে মনে আসে বিষাদ।
সাতদিনের ভোট শেষ হলে মন বলে, গেল আপদ, যাক গে যাক।
সাত দিনের ভোটের গল্প এক এক করে বলি।
শুনলেই বুঝতে পারবেন এ কাল ঘোর কলি!


প্রথম পর্বে জঙ্গলমহল, ভোট নাকি হাসতে হাসতে।
এই প্রথম ভোটে জিততে একসঙ্গে হাত-হাতুড়ি কাস্তে!


দ্বিতীয় দিনে রানিগঞ্জে ভোটের হাওয়ায় দখিনা বাতাস।
ইভিএমের পাশে খোলা জানলা, বুক ভরে ভুতুড়ে ভোটারদের শ্বাস-প্রশ্বাস!


তৃতীয় দিনে ভোটের নায়ক অনুব্রতর গুড়জল! নজরবন্দিতে বেজায় খাপ্পা।
এতকিছুতেও কোথাও কোথাও কয়েকটা কি সত্যিই পড়েনি ছাপ্পা?


চতুর্থ দিনে ভোট ছিল অন্য জায়গার সঙ্গে মুর্শিদাবাদের ডোমকলে।
বোম ফেটে সিপিএম এজেন্টের মৃত্যু হল পড়ে ভোটের নোংরা যাঁতাকলে।


পাঁচ দফায় বোরখা ভোটার, সাঁকরাইল ধুলাগড়ে।
দলকে জেতাতে বোরখাই ভরসা মুখ লুকোতে ভোটের আসরে।


ষষ্ঠ দিনে ভোট রঙিন, গোল্ডেন টাইম অথবা সোনালি দিন।
ডেপুটি স্পিকারের নিদান, সিপিএম এজেন্টকে মেরে বার করে দিন।


আজ শেষ দিনে প্রথম ভোট ছিটমহলের, সঙ্গে মনের পরাধিনতার শিকলের।
এবার অপেক্ষা ১৯ মে-র, জানার যে, আমাদের শাসন করবেন কে!


নিজেরাই নিজেদের শাসক খুঁজছি!
আমরা নাকি স্বাধীন!
আসলে পরাধিনতাই আমাদের মজ্জায়।
গণতন্ত্রের উত্সবে তাই নাচছি তা ধিন।