মানবজীবনে রুদ্রাক্ষের প্রভাব অপরিসীম। যেহেতু রুদ্রাক্ষের উৎপত্তির কারণ স্বয়ং শিব, তাই মানব জীবনে বিভিন্ন গ্রহের অবস্থান অনুসারে এর প্রভাব অনস্বীকার্য। রুদ্রাক্ষ বিভিন্ন প্রকারের হয়। একমুখী, দ্বিমুখী, তিনমুখী, পাঁচমুখী, সাতমুখী ইত্যাদি। এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হবে চারমুখী রুদ্রাক্ষের গুণাগুণ সম্পর্কে। এই রুদ্রাক্ষ ভগবান শিবের আত্মা স্বরূপ, চারমুখী রুদ্রাক্ষ তাঁর চোখের মণি স্বরূপ। তাই শাস্ত্রমতে, কোনও দরিদ্র মানুষ রুদ্রাক্ষের পূজা করলে শিবের বরে সে ধনী হয়ে যায়। এবং এতে অনেক পাপ খণ্ডন হয়। এখন দেখে নেওয়া যাক চারমুখী রুদ্রাক্ষের গুণাগুণ...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চারমুখী রুদ্রাক্ষের গুণাগুণ:


এই রুদ্রাক্ষে ব্রহ্মার সমস্ত শক্তি নিহিত আছে। এই রুদ্রাক্ষ যে ব্যক্তি ভক্তি সহকারে ধারন করবেন তিনি অসীম বিদ্যা ও জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবেন।


আপনার সার্বিক ভাগ্যের উন্নতির জন্য একটি ক্রিস্টাল মালার সঙ্গে চারমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে দ্রুত ফল পাওয়া যায়। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য এবং কর্মের জায়গায় বিশেষ সুনাম অর্জন করতে চারমুখী রুদ্রাক্ষ ধারন করতে পারেন। মানসিক শান্তি পেতে চারমুখী রুদ্রাক্ষ ধারনে দ্রুত ফল পাওয়া যায়। এ ছাড়াও, যে সব ছাত্র-ছাত্রীর পড়াশোনায় একদম মন বসে না, তারা যদি এই রুদ্রাক্ষ ধারন করে তাহলে তাদের ক্ষেত্রে এটি বিশেষ ফলদায়ক হয়।


অকাল মৃত্যুর হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করে থাকে। মানুষের অর্থ ও কাম এই রুদ্রাক্ষ বহন করে। এই রুদ্রাক্ষের অনুসন্ধানে মানুষ ভীষণ উদগ্রীব। গৃহস্থ মানুষের পক্ষে এটা একান্ত উপযোগী। তাছাড়া চারমুখী রুদ্রাক্ষ মালা গলায় থাকলে কোনও শত্রু ক্ষতি করতে পারে না। তবে জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, রাশি আর লগ্ন বিচার করে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে তবেই উপযুক্ত ফল পাওয়া সম্ভব।