ওয়েব ডেস্ক: পুষ্পরাজ্যে এ ফুলের আগমণ আজ থেকে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি বছর আগে। প্রেম,বিরহ,ভালবাসার প্রতীক সেই ফুলকে ঘিরে অন্তবিহীন রূপকথা। এ ফুলের পাঁপড়ি বিছানো শয্যাতেই প্রেমের বাসরঘর রচনা করতেন রানী ক্লিওপেট্রা। হালে ভ্যালেন্টাইনসের সেরা উপহার। ফুলের নাম গোলাপ। আজ শোনাবো সেই গোলাপেরই পুরাণকথা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গোলাপকে যে নামেই ডাক না কেন, গোলাপ, গোলাপই। এমনই রাজকীয় তার বাহার। তার রূপ। অনেকটা রূপে লক্ষী, গুনে সরস্বতীর মতো। যেমন তার রঙের জৌলুস,তেমনই সুবাস। 


রাজকীয় এই ফুলের জন্ম বৃত্তান্ত অনেকেরই অজানা।  প্রেম-বিরহ,ভালবাসার প্রতীক হিসাবে গোলাপকেই বেছে নিয়েছেন কবি,সাহিত্যিকরা। কবির কল্পনায় এসেছে
"আমারি চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ
চুনি উঠল রাঙা হয়ে 
আমি চোখ মেললুম আকাশে 
জ্বলে উঠল আলো
গোলাপের দিকে তাকিয়ে বললুম সুন্দর
সুন্দর হল সে..."


গোলাপ-কাহিনী
গ্রীক পুরাণে ভালবাসার দেবতা অ্যাফ্রোদিত। অ্যাফ্রোদিতের চোখের জল আর তার প্রিয়তমা অ্যাডোনিসের রক্ত থেকেই সৃষ্টি হয়েছে লাল গোলাপ। কুমারি মেরি প্রতীক হিসাবেও সামনে আসে গোলাপের নাম। 


প্রেম নিবেদনে গোলাপ নেই, এমনটা ভাবাই যায় না। গোলাপ শয্যায় প্রেমিক মার্ক অ্যান্টোনিওয়ের সঙ্গে মিলিত হতেন রানী ক্লিওপেট্রা। ইতিহাস বলে, দুনিয়া কাঁপানো নেপোলিয়নের স্ত্রীর ছিল দুনিয়ার সেরা গোলাপ বাগানের সম্ভার। রোমে আবার দরজায় গোলাপ আটকে রাখার অর্থ অন্তরঙ্গ গোপনীয়তা। এহেন গোলাপ ভান্ডারে যে বিবিধ রতন থাকবে তাতে আর আশ্চর্য কী।


গোলাপের জন্ম বৃত্তান্ত
নরম,কোমল,রোমান্টিক এই ফুলের গোড়ার কথা শুনলে একটু অবাক হতে হয়। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, গোলাপের জন্ম প্রায় সাড়ে তিন কোটি বছর আগে। পৃথিবীতে গোলাপের প্রাচীনতম  আবাসস্থল জার্মানি। জার্মানির হিল্ডেসিম ক্যাথিড্রালে গেলে আপনি দেখতে পাবেন হাজার বছরের পুরনো গোলাপ। সেটাই পৃথিবীর আদি গোলাপ। গোলাপ বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে তরতাজা একগুচ্ছ লাল ফুল। এখানেও চমক। পৃথিবীর দুর্লভতম, মূল্যবান গোলাপ জুলিয়েটের  রঙ কিন্ত মোটেই লাল নয়। দেখুন তার ভূবনমোহিনী রূপ। ফুলের চাষ করতেই খরচ ভারতীয় টাকার অঙ্কে প্রায় তিনকোটি। 


চমকে উঠবেন না। শুধু গোলাপের জন্য এটুকু ত্যাগ না হয় স্বীকার করলেন। ক্ষতি কী...