Sanitary pads: বিপন্ন মেয়েরা! স্যানিটারি ন্যাপকিনে ক্যানসারের ডাক...
ভ্যাজাইনা যে পর্দা দিয়ে তৈরি তা মিউকাস মেমব্রেন। যা আমাদের মুখ এবং শরীরের অভ্যন্তরে একাধিক স্থানে রয়েছে। এই মিউকাস মেমব্রেনগুলি যেমন ক্ষরণকার্যে সাহায্য করে তেমন রাসায়নিক উপাদান শোষণও করতে পারে এবং তা ত্বক যেভাবে কাজ করে তার চেয়ে অনেক বেশি দ্রুততার সঙ্গে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পিরিয়ডের সময় স্যানিটারি প্যাড মুশকিল আসান। অথচ এই স্যানিটারি প্যাড মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়, এমনটাই বলছে গবেষণা। এমনকী এই প্যাডের ব্যবহার বাড়িয়ে দিতে পারে ক্যানসারের ঝুঁকি। মহিলাদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে পিরিয়ডের সময়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারে জোর দেওয়া হয়। কিন্তু গবেষণা বলছে ক্যানসার হতে পারে এমন অনেক রাসায়নিক উপাদান থাকে প্যাডের মধ্যে। টক্সিক লিংকসের গবেষণায় বলা হয়েছে, স্যানিটারি প্যাডে কার্সিনোজেন, রিপ্রোডাক্টিভ টক্সিন, এন্ডোক্রিন, অ্যালার্জেনের মতো কিছু ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। যা অত্যন্ত ক্ষতিকর।
এই পরীক্ষাটি করা গবেষকদলের একজন ডঃ অমিতের কথায়, "এটা খুবই অবাক করে দিয়েছে যখন স্যানিটারি ন্যাপকিনে একাধিক ক্ষতিকারক রাসায়নিকের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে কারসিনোজেন (ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান), রিপ্রোডাক্টিভ টক্সিন (গর্ভনাশক উপাদন), এন্ড্রোক্রিন প্রতিরোধক এবং অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদান।" টক্সিকস্ লিঙ্কের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ডঃ আকাঙ্খা মেহরোত্রা বলেন, ভ্যাজাইনা যে পর্দা দিয়ে তৈরি তা মিউকাস মেমব্রেন। যা আমাদের মুখ এবং শরীরের অভ্যন্তরে একাধিক স্থানে রয়েছে। এই মিউকাস মেমব্রেনগুলি যেমন ক্ষরণকার্যে সাহায্য করে তেমন রাসায়নিক উপাদান শোষণও করতে পারে এবং তা ত্বক যেভাবে কাজ করে তার চেয়ে অনেক বেশি দ্রুততার সঙ্গে।
যে এনজিও এর তরফে এই গবেষণাটি করা হয়েছে তা আসলে আন্তর্জাতিক একটি সংস্থা যারা দূষণ কমানো নিয়ে কাজ করে চলেছে। তারা দশটি ব্র্যান্ডের স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে এই স্টাডিটি করেন। সেই সব স্যাম্পেলে 'ফ্যাথেলেটস' (কোনও উপাদানের মধ্যে প্লাস্টিসিটি নিয়ে আসে যা) এবং VOC নামক উপাদানও রয়েছে। এই দুই উপাদানই শরীরে প্রবেশ করলে দেহে ক্যানসার তৈরি করতে পারে। এমনকি ইউরোপের বহু দেশে নিষিদ্ধ বেশ কিছু টক্সিন এই সকল ন্যাপকিনে পাওয়া গিয়েছে যা থাকার কথা নয়। ফ্যাথেলেটস ক্যানসারের জন্য দায়ী। গবেষণা বলছে, ভারতে সর্বাধিক বিক্রিত দুটি স্যানিটারি প্যাডে ছয় ধরণের ফ্যাথেলেটস রয়েছে।
স্যানিটারি প্যাড ব্যবহারের পাশাপাশি পিরিয়ডের সময়ে দুর্গন্ধ দূর করতে নানারকম সুগন্ধি যুক্ত প্যাড ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। তাতেও শরীরের ক্ষতি হয় বলে দাবি করেছে এই গবেষণা। ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সি তরুণীদের প্রায় ৬৪ শতাংশই প্রতি মাসেই অন্ততপক্ষে পাঁচ দিন স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করেন। গবেষণা অনুযায়ী, স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করলে শরীরে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ চলে যাওয়া সম্ভাবনা বেশি।