নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্তমানের অতিরিক্ত কর্মব্যস্ততা বা মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপে দ্রুত বদলে যাচ্ছে আমাদের জীবন। বিরামহীন জীবনযাত্রার প্রভাব পড়ছে আমাদের যৌন জীবনেও। অথচ, এ কথাও সত্যি যে, সুস্থ যৌন জীবন সুস্থ জীবনেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। অনেক সময়ই দেখা গিয়েছে, বয়স একটু বেড়ে গেলেই যৌনতায় অনিচ্ছা চলে আসে বহু মানুষের। অনেক সময় তা থাইরয়েড বা ডায়াবেটিসের কারণেও হতে পারে। আবার এমনও হয়, যৌনতায় অনিচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও তা সাধ্যে কুলোয়া না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যৌবনে টেস্টোস্টেরন হরমোন যথেষ্ট পরিমাণে ক্ষরিত হয় বলে যৌন মিলনের বাসনা ষোলো আনা চাঙ্গা থাকে। কিন্তু, বার্ধক্যে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। ফলে যৌন মিলনের ক্ষেত্রেও তার প্রভাব পড়ে। কিন্তু খাবারের সঙ্গে এমন একটি উপাদান আমরা অজান্তেই প্রতিদিন খেয়ে চলেছি, যা আমাদের যৌন উদ্দীপনা কমিয়ে দেওয়ার জন্য অনেকটাই দায়ি। আর সেই উপাদানটি হল চিনি!


শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনির প্রভাবে রক্তে শর্করা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ওবেসিটি, ডায়াবেটিসের মতো একাধিক রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। শুধু তাই নয় কমে যেতে পারে টেস্টোস্টেরন হরমোনের নিঃসরণও।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক-এর বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে শর্করা বাড়লে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে হতাশা, মানসিক অবসাদ, স্থুলতার সমস্যা বাড়তে থাকে। তাঁদের মতে, খাবারে অতিরিক্ত চিনি থাকার ফলে মহিলাদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব এবং লেপটিনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে। যৌনক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে লেপটিনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লেপটিনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে টেস্টোস্টেরন হরমোনের নিঃসরণও হ্রাস পায়।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’-র স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী, পুরুষদের রোজ ৯ চামচ ও মহিলাদের ৬ চামচের বেশি চিনি খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ম মাত্রায় চিনি খাওয়ার ফলে পুরুষদের স্তন ভারী হয়ে যেতে পারে। নষ্ট হয়ে যেতে পারে শারীরিক গঠন।


আরও পড়ুন: যৌন জীবনে ভাঁটা পড়েছে? জিরা খেয়ে দেখুন এই পদ্ধতিতে, বাড়বে কামেচ্ছা!


তাহলে কি কৃত্রিম চিনি ব্যবহার করা যেতে পারে?


ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এড়াতে চিনির বিকল্প হিসেবে অনেকেই কৃত্রিম চিনি বা সুগার ফ্রি খেয়ে থাকেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম চিনির মধ্যেও রয়েছে শর্করা এবং আরও অনেক রাসায়নিক যা স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। হৃদস্পন্দনের গতি বদলে যেতে পারে। এ ছাড়াও দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, মাইগ্রেন-সহ একাধিক সমস্যা শরীরে বাসা বাঁধে। তাই নিত্য দিনের খাদ্য উপাদান থেকে চিনি বা কৃত্রিম চিনির ব্যবহার যতটা কমানো যায়, তত মঙ্গল!