নিজস্ব প্রতিবেদন: অফিস যাওয়া না থাকলে জিন্সের ট্রাউজারের সঙ্গে গায়ে একটা টি-শার্ট গলিয়ে নিতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করেন বেশির ভাগ ছেলেরাই। বোতাম আটকানোর ঝামেলা নেই, কোমরের কাছে সমান করে গুঁজে নেওয়ার দরকার নেই! চটজলদি তৈরি হয়ে নিতে টি-শার্টের জুড়ি মেলা ভার!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মেয়েরাও এখন জিন্স বা কটন ট্রাউজার, পালাজোর উপর একটা মানানসই টি-শার্ট গলিয়ে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন সপিং, টিউশন, অফিস বা ডেটিংয়ে। টি-শার্ট গলিয়ে নেওয়ার সুবিধা আর স্বচ্ছন্দের কারণে সারা বিশ্বেই এখন বেশ জনপ্রিয় পোশাকের তালিকায় রয়েছে এটি।


কিন্তু জানেন কি বিশ্বে কবে প্রথম টি-শার্ট তৈরি করা হয়? কাদের কথা মাথায় রেখে প্রথম এই ধরনের পোশাক তৈরির ভাবনা আসে? জেনে নিন জনপ্রিয় টি-শার্টের অজানা ইতিহাস...


আজ থেকে ১১৬ বছর আগে ১৯০৪ সালে বিখ্যাত অন্তর্বাস প্রস্তুতকারী সংস্থা কুপার (Cooper) এক বিশেষ ধরনের জামা তৈরি করে যেখানে কোনও বোতাম লাগানোর ব্যবস্থাই রাখা হয়নি। মূলত ‘সিঙ্গল ব্যাচেলর’দের কথা ভেবেই এই বিশেষ ধরনের জামা তৈরি করে সংস্থা। সেই সময় একটি নামী মার্কিন পত্রিকায় সংস্থার পক্ষ থেকে এই বিশেষ ধরনের জামার বিজ্ঞাপন দিয়ে লেখা হয়, ‘যে সমস্ত যুবক অবিবাহিত এবং সিঙ্গল, যাঁরা জামার বোতাম ছিঁড়ে গেলে সেলাই করে নিতে পারবেন না, এ জামা তাঁদের জন্যই!’


তবে এই বিশেষ ধরনের পোশাককে ‘টি-শার্ট’ হিসাবে প্রথম উল্লেখ করা হয় মার্কিন লেখক ফ্রান্সিস স্কট কি ফিৎসগেরাল্ডের ১৯২০ সালে প্রকাশিত (Francis Scott Key Fitzgerald) উপন্যাস দিস সাইড অব প্যারাডাইস (This Side of Paradise)-এ। অর্থাৎ, এই বিশেষ ধরনের পোশাকের নামকরণ করেন এই মার্কিন লেখক।


আরো পড়ুন: স্যানিটাইজারের জোগানে টান? উপযুক্ত বিকল্পের খোঁজ দিল জাপান


তবে এই বিষয়টি নিয়ে মতান্তর রয়েছে। অনেকের দাবি, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মূলত মার্কিন নৌ-বাহিনীর জন্যই বিশ্বে প্রথম টি-শার্ট তৈরি করা হয়। এ প্রসঙ্গে একাধিক তথ্যকে বিচার করে বলা যেতে পারে ১৮৮৯ সাল থেকে ১৯১৩ সালের মধ্যে তৈরি করা হয় টি-শার্ট, যা বর্তমানে আমেরিকার গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপি জনপ্রিয়।