Power Naps: ভাত ঘুম স্বাস্থ্য়ের জন্য় কতটা উপকারী? জেনে নিন...
পাওয়ার ন্যাপ কথাটা আমরা অনেকেই শুনেছি। পাওয়ার ন্যাপ নিলে বেড়ে যায় কর্মক্ষমতা, স্মৃতিশক্তি। শরীরকে সতেজ এবং চাঙ্গা করে তোলে। কিন্তু ঠিক কতক্ষণ ন্যাপ নিলে তা শরীরের পক্ষে ভালো। জেনে নিন এমনই কিছু তথ্য।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দিনের বেলায় ক্লান্ত বোধ করায় শরীরকে একটু বিশ্রাম দিতে অল্প-স্বল্প ঘুমিয়ে নেন। বিশেষ করে দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যে প্রবীণ ও শিশুরা এক ঘণ্টা থেকে ২ ঘণ্টা ঘুমিয়ে নেয়। এই অল্প সময়ের কম ঘুমানোকেই আমরা 'পাওয়ার ন্যাপ' বলে থাকি। আমরা বাঙালিরা যাকে বলে 'ভাত ঘুম'। পাওয়ার ন্যাপের মানেই কম সময় শরীরকে সতেজ ও চাঙ্গা করতে ও পরবর্তী পারফরম্যান্স যাতে ভাল হয়, তারজন্য নিজেকে প্রস্তুত করা।
আরও পড়ুন: Creativity: সৃষ্টিশীলতাই দূরে রাখবে নেগেটিভ চিন্তা এবং আবেগ, যে ছয় কারণ...
গবেষকদের বক্তব্য়, দিনে ৩০ মিনিটের ঘুম আমাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য় ভালো। এতে মস্তিষ্কের উন্নতি বাড়াতে সাহায্য় করে এবং ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমায়। এই স্বল্প সময়ের ঘুমের প্রয়োজনীয়তা ও সুবিধা-অসুবিধাও রয়েছে, সেগুলি একনজরে দেখে নেওয়া যাক
১. দিন-রাত যাঁরা কাজ করে চলেছেন, তাঁদের জন্য অবশ্যই ঘুমের প্রয়োজন। যখনই শারীরিক ও মানসিকভাবে নিস্তেজ বোধ হবে, তখনই শক্তি সঞ্চারের জন্য এক ঘণ্টার একটু ঘুমের প্রয়োজন হয়। এতে কাজের ক্ষেত্রে বা জীবনের নানান পরিস্থিতিতে কোনও বড় সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়। কারণ ওই একঘণ্টার ঘুমেই শরীর ও মস্তিষ্ক ফুল চার্জ হয়ে যায়। মনকে দারুণ ভাবে সক্রিয় ও সতেজ করে তোলে।
২. পড়াশোনা পর ঘুমানো হলে মস্তিষ্ক সতেজ থাকে,স্মৃতিশক্তি বাড়ে এবং স্মৃতি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৩. সপ্তাহে এক বা দুবার নিয়মিত পাওয়ার ন্যাপ নিলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক ঝুঁকি কম থাকে।
৪. দুপুরে ঘুমানো কিন্তু বেশ প্রয়োজন। শারীরিক দক্ষতা, কার্যকরী শিক্ষা, কম চাপ, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি পুনরুদ্ধার করতে পারে। যে মহিলারা রাতে ঘুম থেকে বঞ্চিত হন তাদের জন্য হরমোনের উপর প্রভাব পড়তে পারে। তাই পাওয়ার ন্যাপ হরমোনের প্রভাবকে হ্রাস করতে পারে।
আরও পড়ুন: Horoscope Today: মেষের প্রত্যাশা, বৃষর দৃষ্টিভঙ্গি; কেমন কাটবে আপনার দিন?
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য় দরকার ঘুম। সাইটোকাইনস নামে একটি প্রোটিন রয়েছে, যা ঘুমের সময় উত্পন্ন হয়। এই প্রোটিন সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে বিশেষ কাজ করে। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঘুমের সময় ভালো প্রতিক্রিয়া দেখায়। এই কারণেই ডাক্তাররা পরামর্শ দেয় যে, যখনই অসুস্থ বোধ করবেন তখন যতটা সম্ভব বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ এতে আপনার শরীর আসতে আসতে সেড়ে উঠবে।
৬. এক ঘণ্টা বা তার কম সময়ের জন্য ঘুমানো ভালো। যদি ঘুমের সময়ের মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে স্থূলতা, অলসতা বাড়তে পারে। কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং ডায়াবেটিস হতে পারে। মেটাবলিজম সিন্ড্রোম রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।