ওয়েব ডেস্ক: ফাস্ট লাইফ। দিনভর দৌড়। ট্রেন-বাস-ট্রাম-গাড়ি। এসবই ভরসা। জনসংখ্যা বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাস্তায় ভিড়। জ্যাম-যন্ত্রণা তো লেগেই আছে। গন্তব্যে পৌছনর টেনশন মাথায়। এমন সময়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে রাস্তায় সময় নষ্ট। কাহাতক সহ্য হয় বলুন তো! এর হাত থেকে মুক্তি পেতেই এবার নয়া ম্যাজিক ফর্মূলা নিয়ে হাজির চিন।
 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


হলিউডের সিনেমা নয়। খাঁটি বাস্তব। ট্রাফিক জ্যামকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, ভিড়ে ঠাসা রাস্তায় সমস্ত গাড়িঘোড়ার ওপর দিয়ে নির্বিঘ্নে চলতে পারে এই দৈত্যাকার বাস।
এ'জিনিস রাস্তায় নামলে, যানজট এক নিমেষে ফুঃ।


দেখতে অনেকটা দোতলা বাসের মতো। নিচের অংশ অবশ্য ফাঁকা। নিচ দিয়ে যথারীতি ছোট গাড়ি হুশহাশ বেরিয়ে যেতে পারবে। কোনও সমস্যাই নেই। যাত্রীদের পেটে পুরে ব্রিজের মতো করে সাঁইসাঁই ছুটবে এই আজব বাস।



ট্রানজিট এলিভেটেড বাস বা সংক্ষেপে TEB দৈর্ঘ্যে প্রায় বাইশ মিটার এবং প্রায় আট মিটার প্রস্থ। একটি TEB-তে প্রায় ৩০০ জন যাত্রী তোলা সম্ভব। বাসটি চলুক বা দাঁড়িয়ে থাক, অন্যান্য গাড়ি বাসের নিচ দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারবে। একইভাবে বাসটিও রাস্তার অন্যান্য ছোট গাড়িগুলিকে পেরিয়ে এগিয়ে যেতে পারে।



রাস্তার প্রায় ২টি লেনের সমান চওড়া এই বাস। এলিভেটেড এই বাস চাকার ওপরে চলে না, বরং মোনোরেলের মতো নির্দিষ্ট ট্র্যাক ধরে এগোয়। বাসস্টপ থেকে এলিভেটর বা এসকালেটরের সাহায্যে বাসে উঠবেন-নামবেন যাত্রীরা। সৌরশক্তি এবং ইলেকট্রিক পাওয়ার, দুইয়ের শক্তিতেই চলে TEB বাস। রিলে চার্জিং নামে প্রযুক্তির সাহায্যে স্টেশনে পৌছতেই ইলেকট্রিক শক্তি পায় বাস। মাটি থেকে কম করে ২ মিটার উঁচুতে থাকে এই বাসের যাত্রীবাহী তলা। বাসের সামনে, পিছনে, দুই পাশে বিশেষ সেন্সর লাগানো রয়েছে, যাতে কোনও বড় গাড়ি খুব কাছাকাছি না আসে।


 


প্রায় ৪০টি সাধারণ বাসের সমান একটি ট্রানজিট এলিভেটেড বাস এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নেও উপযোগী। ৪টি ট্রানজিট এলিভেটেড বাস একসঙ্গে জুড়ে একটি ট্রেনের মতো চালানো যেতে পারে। সর্বাধিক ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ছুটতে পারে এই বিশেষ বাস।



সারা বিশ্বের মধ্যে কুখ্যাত চিনের রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম। এমন অদ্ভুত বাস চালুর উদ্দেশ্যই হল, এই জ্যাম বাগে আনা। গতবছর মে মাসে কুইনহুয়াংদাও শহরের রাস্তায় প্রথম নামানো হয় এই বাস। TEB বাসটি নজর কেড়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও। সূত্রের খবর, পরিবহণ মন্ত্রকের কর্তাদের কাছে চিনা বাসটি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। ভারতেও যানজটের হাত থেকে মুক্তি পেতে এই বাস চালানো যায় কিনা, এনিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। বাসের মহিমা সত্যিই অপার। যে দেখে তারই চক্ষু ছানাবড়া। (আরও পড়ুন- পৃথিবীর সুখের ঠিকানা নরওয়ে, দুঃখের 'খনি' আফ্রিকায়!)