আন্তর্জাতিক মঞ্চে ঠাকুরমার ঝুলি-কে নিয়ে গেলেন মনোবিদ
ঠাকুরমার ঝুলিকে ইংরেজিতে অনুবাদ করলেন পেশায় মনোবিদ পিয়াষ নন্দী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হ্যারি পটার দুনিয়া কাঁপাতে পারলে, ঠাকুরমার ঝুলি পারবে না কেন? দক্ষিণারঞ্জনের অমর সৃষ্টির মধ্যে তো রসদ কম নেই! এমন ভাবনা থেকেই কলম ধরেছিলেন তিনি। তারপর আস্ত ঠাকুরমার ঝুলি অনুবাদ করে ফেলেছেন ইংরেজিতে। মনোবিদ পিয়াষ নন্দীর কলমের জোরে আন্তর্জাতিক শিশু সাহিত্যের আঙিনায় পৌছে গেল ব্যঙ্গমা-ব্যঙ্গমীর রূপকথা।
কলমের জাদুকাঠিতে রূপকথার আশ্চর্য জগত বুনে দিয়েছিলেন দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার। তারপর থেকে যুগ যুগ ধরে শৈশবের ভাবুক মনের অপরিহার্য সঙ্গী ঠাকুরমার ঝুলি। ১৯০৭ সালে যার প্রথম আত্মপ্রকাশ। তারপর থেকে এতগুলো বছর মূলত বাংলা ভাষাতেই সীমাবদ্ধ থেকেছে রাক্ষস-খোক্কস, ব্যঙ্গমা-ব্যঙ্গমীর গল্প। অন্য রকম ভেবেছিলেন প্রবাসী বাঙালি পিয়াষ নন্দী। আমেরিকা থেকে কলকাতায় এসেও কলম থামেনি তাঁর। হাইল্যান্ড পার্কের বাড়িতে বসে শেষ করে ফেলেছেন ইংরেজিতে ঠাকুরমার ঝুলি লেখার কাজ। ঝকঝকে বইয়ের আকারে তা প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন- ফলন কমেছে, মিউজিয়ামে ঠাঁই পাওয়ার আশঙ্কায় দার্জিলিঙের কমলা
আজকের ডোরেমন পোকেমনের যুগে রাজপুত্র-রাজকন্যার রূপকথা দারুণভাবে টানে পিয়াষকে। সেই ভালবাসা থেকেই ঠাকুরমার ঝুলির ইংরেজি অনুবাদে হাত দেওয়া। বাঙালির ঘরে ঘরে সমাদৃত ঠাকুরমার ঝুলির সব গল্পই গ্রান্ড মাজ বাকেট ফুল অফ ম্যাজিকে আছে। এত কিছু তো লিখেছেন! আমার গল্পটি ফুরলো, নটেগাছটি মুড়োলো। এর অনুবাদ কীভাবে করলেন? শুনে হেসে ফেলেন কল্পনাপ্রেমী মনোবিদ।