নিজস্ব প্রতিবেদন: পেটকাটি, চাঁদিয়াল, মোমবাতি, বগ্গা... বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশে ঘুড়ির ভিড়। দুপুরে বাড়ির ছাদে অচেনা পায়ের দাপাদাপি! পাঁচিল ডিঙিয়ে বাগানের ফুল গাছগুলোর সর্বনাশ করে পাড়ার চেনা অচেনা কিশোরদের ছোটাছুটি, হুটোপাটি। ঘুড়ি মানেই আকাশে কাটাকুটির খেলা আর ‘ভো-কাট্টা’ জয়োল্লাসে মেতে ওঠা। খেলা বা মনোরঞ্জনের বাইরেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে ঘুড়ির ব্যবহার করা হয়েছে। তবে সে সব ঘুড়ির চেহারার সঙ্গে আমাদের চেনা পরিচিত পেটকাটি, চাঁদিয়ালের তেমন কোনও মিল ছিল না। আসুন জেনে নেওয়া যাক খেলা বা মনোরঞ্জন ছাড়া আর কী কী কাজে ঘুড়ির ব্যবহার করা হয়েছে...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১) দ্বাদশ শতকে চিনে শত্রু পক্ষের যুদ্ধ-জাহাজ ধ্বংস করার জন্য ঘুড়িতে বিস্ফোরক বেঁধে উড়িয়ে দেওয়া হত নির্দিষ্ট লক্ষ্যে বিস্ফোরণ ঘটাতে! সে সময় এ কাজে ব্যবহৃত হত কাঠের তৈরি ঘুড়ি চিনা ভাষায় ‘মু ইয়ুয়ান’ বলা হত।



২) প্রাচীনকালে চিনে গোলন্দাজ বাহিনীর লক্ষ্যভেদের অনুশীলন করতে ঘুড়ির ব্যবহার করা হত।


৩) জাপানে দুর্গের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বার্তা পাঠাতে ঘুড়ির ব্যবহার করা হত। ঘুড়ির কাগজের উপর লিখে দেওয়া হত প্রয়োজনীয় সংকেত বা বার্তা।


৪) ১৭৪৯ সালে স্কটল্যান্ডের দুই বিজ্ঞানী টমাস মেলভিন ও আলেকজান্ডার উইলসন ঘুড়ির গায়ে থার্মোমিটার লাগিয়ে তাকে আকাশে উড়িয়ে পৃথিবীর উপর স্তরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করেছিলেন।


৫) ১৮৮৪ সালে ঘুড়ির সঙ্গে অ্যানিমোমিটার বেঁধে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১,৩০০ ফুট উচ্চতায় পাঠিয়েছিলেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ডগলাস আর্কিবল্ড। ওই উচ্চতায় বাতাসের গতিবেগ মাপতেই তিনি এমনটা করেছিলেন।



আরও পড়ুন: বাবুঘাটে এবার প্যাকেজে তর্পণ! একই সঙ্গে পাতপেড়ে ভুরিভোজ আর গঙ্গাবক্ষে ভ্রমণ!


৬) ১৮৯৩ সাল থেকে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস’ ঘুড়ির সাহায্যেই বিভিন্ন জরুরি তথ্য সংগ্রহ করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানাত।


৭) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্লাস্টিকের তৈরি ঘুড়ির সঙ্গে এরিয়াল জুড়ে দিয়ে সেটিকে শূন্যে ভাসিয়ে রেডিয়ো-সংকেত পাঠানো হত।


৮) শোনা যায়, ১৮৯৮ সালে স্পেন-আমেরিকার যুদ্ধে ঘুড়ির সঙ্গে ক্যামেরা জুড়ে দিয়ে গোপনে ছবি তোলার অভিনব চেষ্টা করা হয়েছিল।


৯) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রপক্ষের রণতরী থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ঘুড়ি উড়িয়ে অন্তত চারটি জার্মান যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল।