জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেন খেলতে-খেলতে মাঠে এত থুতু ফেলেন মেসিরা? আমরা দর্শকেরা ভাবি, হাঁপিয়ে যান বলেই হয়তো এমনটা করে থাকেন খেলোয়াড়েরা। কেউ বলেন, এটা একেবারেই বিরুদ্ধপক্ষের খেলোয়াড়দের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার এক নীরব কৌশল। মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার আর কী! কেউ আবার বলেন, আসলে ওসব কিছুই নয়, ওটা একটা অবসেসিভ-কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার বা ওসিডি। বাহ্যিক ভাবে হয়তো থুতু ফেলার বিষয়টায় এই সব কারণই অল্প-বিস্তর মিলেমিশে থাকে। কিন্তু সম্প্রতি জানা যাচ্ছে, এর পিছনে দারুণ একটা বিষয় আছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কী সেটা?


আরও পড়ুন: Future Pandemic: 'হু'-র হুঁশিয়ারি! আসছে আরও এক ভয়ংকর অতিমারী! কবে, রোগটাই-বা কী, সব জানাল তারা...


এ সংক্রান্ত বেশ কিছু গবেষণা হয়েছে। তা থেকে সামগ্রিক ভাবে যা ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে, তা হল-- যখনই শরীরের অতিরিক্ত এক্সারসাইজ হয়, তখন প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন তৈরি করে শরীর আর সেটা স্যালিভায় চলে আসে। বিশেষ করে এক ধরনের মিউকাস, যার নাম এমইউসিফাইভবি (MUC5B)। এর ফলে থুতুটা খুব ঘন হয়ে পড়ে। যে কারণে এটা গিলে ফেলা যায় না। এটা থুতু হিসেবে বাইরে ফেলে দেওয়াটাই বাঞ্ছনীয়। 


ফুটবলাররা যখন দেড়-দু'ঘণ্টার কোনও ম্যাচ টানা খেলেন এবং সারাক্ষণ তাঁদের এজন্য দৌড়তে হয়, তখন তাঁদের শরীরের বিপুল এক্সারসাইজ হয়। তার ফলে প্রোটিন উৎপন্ন হয়। সেটা তাঁরা গিলে ফেলতে পারেন না বলে, মাঠেই থুতু ফেলেন। এ কারণেই শুধু মাত্র ফুটবলাররাই নন, ক্রিকেটার এবং রাগবি প্লেয়াররাও খেলতে-খেলতে মাঠেই থুতু ফেলেন। 


কিন্তু কেন ওই বিশেষ মিউকাসটি এত বিপুল পরিমাণে তৈরি হয় মুখের ভিতরে? 


বলা হয়, সাধারণত খেলার সময়ে খেলোয়াড়দের বাধ্য হয়ে মুখ দিয়েও শ্বাস নিতে হয়। সেটা করতে গেলে ক্রমশ মুখের ভিতরটা শুকনো হয়ে পড়ে। এরকম হলে শরীরে অসুবিধা দেখা দিতে পারে। শরীরের বিজ্ঞানই নিজে থেকে সেটা আটকানোর ব্যবস্থা করে। সে প্রচুর মিউকাস তৈরি করতে থাকে মুখের ভিতরে। যা মুখের ভিরটা শুকোতে দেয় না। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)