জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জগদ্ধাত্রী পুজো দুর্গা বা কালীপুজোর মতো বিপুল ভাবে হয় না। এই পুজোর প্রচলনও অপেক্ষাকৃত আধুনিক সময়ে। আঠারো শতকে নদিয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় তাঁর রাজধানী কৃষ্ণনগরে এই পুজোর প্রচলন করেন বলে মনে করেন গবেষকেরা। যদিও রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আগেও জগদ্ধাত্রী পুজোর খবর মেলে। নদিয়ার শান্তিপুরের জলেশ্বর শিবমন্দির ও কোতোয়ালি থানার রাঘবেশ্বর শিবমন্দিরের ভাস্কর্যে জগদ্ধাত্রীর মূর্তি দেখা গিয়েছে। অবয়বের দিক থেকে কালীর সঙ্গে কোনও মিলই নেই দেবী জগদ্ধাত্রীর। খানিকটা মিল বরং রয়েছে দেবী দুর্গার সঙ্গে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেমন দেবী জগদ্ধাত্রীর রূপ? কী তার ব্যাখ্যা? 


শাস্ত্র জানাচ্ছে,  দেবী জগদ্ধাত্রীর রূপ উজ্জ্বল। তাঁর তিনটি চোখ, চারটি হাত। চার হাতে শঙ্খ, ধনুক, তীর এবং চক্র। শঙ্খ শব্দের প্রতীক, শব্দই নাদ, নাদই ব্রহ্ম। দেবী বাক্ রূপেও নিজেকে প্রকাশ করেন। দেবীর হাতের ধনুকটি হল অসীম চৈতন্যশক্তির প্রতীক। সেই চেতনা যখন ক্রিয়াশীল হয় তখন মানুষের লক্ষ্য হয় প্রাপ্তি-- যশ-অর্থ-মোক্ষ! প্রাপ্তির শেষ নেই। সেই প্রাপ্তির দিকে তাকিয়েই থাকে তীর বা বাণ। ধনুকের ছিলাটিও প্রতীকী। এটি জগজ্জননী বেঁধে দেন সাধুজনের অন্তরে।


আরও পড়ুন: Jagaddhatri Puja: বাংলায় কার হাতে এবং কোথায় প্রথম শুরু হল জগদ্ধাত্রী পুজো?


মা সিংহের উপর আসীন। সিংহটি আবার একটি হস্তীর উপর অবস্থিত। হাতি উন্মত্ত মনের প্রতীক। কথায় বলে, মন মত্ত করী। সেই তমোগুণকে নিয়ন্ত্রণ করে রজোগুণ, সিংহ যার প্রতীক। আবার রজোকে নিয়ন্ত্রণ করে সত্ত্ব গুণ, দেবী স্বয়ং যার প্রতীক। সাধকেরা বলে থাকেন-- যে-কোনও সাধনায় মনকেই সংযত করে বশে আনা দরকার, সেটা সাধনার অপরিহার্য অঙ্গ। মানুষের মন সদা ব্যস্ত। সদা চঞ্চল। তাকে মত্ত হাতির সঙ্গে তুলনা করা হয়। এই মত্ত মন-করীকে বশ করতে পারলেই সাধনায় সিদ্ধিলাভ অবশ্যম্ভাবী। মত্ত মন-করীকে বশ করে সাধক-হৃদয়ে জগদ্ধাত্রীর প্রতিষ্ঠা করাই হল জগদ্ধাত্রী-সাধনার সার্থকতা।


এর পাশাপাশি, আর একটি ব্যাখ্যাও আছে। দেবী জগদ্ধাত্রী করীন্দ্রাসুর অর্থাৎ মহাহস্তীরূপী অসুরকে বধ করেছিলেন। তাই দেবীর পদতলে হস্তীমুণ্ড থাকে।  


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)