নিজস্ব প্রতিবেদন: মহাভারতে বিদুর এক বিরল চরিত্র। জ্ঞানী, বিচক্ষণ, চিন্তাশীল। যুদ্ধনীতি, ধর্মনীতি, সমাজনীতি নিয়ে তাঁর বিপুল ব্যুৎপত্তি। এসব ছাড়া অর্থ-নীতি নিয়েও যে তিনি সেই সময়ে ভেবেছিলেন, তা খুব কমই চর্চা হয়। কী ভাবে আর্থিক সঙ্কট কাটাবেন বা কী ভাবে অর্থবান হবেন-- এ নিয়ে জরুরি নীতি-নির্দেশ আছে মহাত্মা বিদুরের। অর্থনৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রে বিদুর এই যে নীতিগুলি প্রণয়ন করেছিলেন সেগুলিকে 'বিদুরনীতি' বলা হয়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

'বিদুরনীতি' বলছে-- বিবেচনার সঙ্গে টাকা খরচ করতে। অর্থবান হওয়ার ক্ষেত্রেও মানসিক ও শারীরিক সংযম খুব জরুরি। শুধু বিপুল আয় করলেই হবে না, জরুরি আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য রক্ষাও। অবিবেচকের মতো অর্থব্যয় করলে জীবনে অশেষ দৈন্য আসে। নিজের প্রয়োজন বুঝে অর্থ রোজগার ও তার ব্যয় কাম্য। অর্থের অপব্যবহার একেবারেই বন্ধ করা উচিত।  বিপদের কথা ভেবে, ভবিষ্যতের কথা ভেবে টাকা সঞ্চয় করা দরকার। তবে অর্থসংগ্রহ কখনও যেন নিষ্প্রাণ না হয়। প্রচুর অর্থের মালিক হলেও পরিবারের সমস্ত সদস্যের সঙ্গে যেন মধুর সম্পর্ক বজায় থাকে।


এখানে বিদুর খুব জরুরি একটা কথা বলছেন। তিনি বলছেন, বাস্তুবিদ্যা মেনে বাড়ি বানালে সেই বাড়িতে অর্থ ও ধনসম্পদ অক্ষয় থাকে। অর্থাৎ, যিনি অর্থবান হতে চান, তাঁকে বাড়িও নির্মাণ করাতে হবে বাস্তু মেনে। তবে ফল মিলবে। 


শেষ উপদেশে বিদুর বলছেন অর্থবান হতে গেলেও আলস্য বর্জন করতে হবে। বলছেন, মানুষ সদাসর্বদা যেন তাঁর কর্মের দিকে খেয়াল রাখে। আলস্য ত্য়াগ করে সদা কর্মে নিয়োজিত থাকলে মনও উজ্জীবিত থাকে। আর এতে লক্ষ্মীর কৃপাও পাওয়া যায়।


(Zee 24 Ghanta App: দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)


আরও পড়ুন: Mangal Rashi Parivartan 2021: আজই মঙ্গলগ্রহ বিশেষ প্রভাব ফেলবে রাশিচক্রে; দেখে নিন আপনার উপর কী প্রভাব!