বায়োডাটা তৈরির সময় যে জিনিসগুলো একদম রাখবেন না
১) খুব ঝকমকে বা রঙচঙে কাগজে সিভি লিখবেন না--অনেকেই আছেন যারা ভাবেন সিভিটা ঝকমকে বা রঙচঙে কাগজে লিখে দিলে কাজ হবে। কিন্তু এমন মনে করার কোনও কারণ নেই। সিভি সবসময় সাদা কাগজের ওপর প্রিন্ট করাই উচিত। আপনার সিভি ফরম্যাল, অফিসিয়াল ডকুমেন্টেড হওয়া উচিত।
২) ফন্ট যেন খুব চেনা হয়--যে ফন্টে সিভিটা লিখবেন সেটা যেন সহজ, সরল, চেনা হয়। কায়দা মাড়া ফন্টে লিখে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়।
৩) হেডিংয়ে সিভি, বায়োডাটা, Resume এই ধরনের কথা লিখতে যাবেন না--অনেকেই আছেন যারা সিভির ওপর হেডিংয়ে CV, Curriculum Vitae and Resume জাতীয় কথা লেখেন, সেটার দরকার নেই।
৪) ছবি না চাইলে দরকার নেই--ছবি না চাইলে আগ বাড়িয়ে দিতে যাবেন না। মডেলিং, অভিনয় ছাড়া সব জায়গায় ছবির প্রয়োজন হয় না।
৫) নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে গুণগান করতে শুরু করবেন না--আমি খুব ডেটিকেটিভ মানুষ। খুব পরিশ্রম করতে পারি। দারুণ সত্ মানুষ। এমন সব কথার কোনও প্রয়োজন নেই। এতে পাল্টা প্রশ্ন করলে আপনার চাপ বাড়তে পারে। সিভিতে নিজের পরিচয়টা স্মার্টভাবে দিন,ঢাকঢোল পিটিয়ে নিজের গুণগান গিয়ে নয়।
৬)'আমি', 'আমার' জাতীয় শব্দ এডি়য়ে চলুন--আমি অমুক কোম্পানিতে টিম লিডার ছিলাম, আমার অমুক ছিল। আমি, আমার শব্দ সিভিতে ত্যাগ করুন। বদলে বুলেট ব্যবহার করে পয়েন্ট অনুযায়ী সাজান।
৭) বানান ভুল বা ব্যাকরণগত ত্রুটি একদম যেন না থাকে--সিভিতে বানান ভুল বা বাক্য তৈরিতে ব্যাকরণগত ত্রুটি করে ফেলবেন না। একটা ছোট্ট ভুলের জন্য আপনার চাকরিটা হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।
৮) চাকরি ছাড়ার কারণ, বর্তমান চাকরির যাবতীয় তথ্য--ঠিক কী কারণের জন্য আগের চাকরিটা ছেড়ে এই চাকরিটা করতে চাইছেন সেটা দিন। বর্তমানে যে চাকরিটা করছেন তার যাবতীয় তথ্য দিন। আপনার 'জব রোল' ঠিক কী সেটা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন।
৯) অপ্রয়োজনীয় তথ্য দেবেন না --অপ্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সিভি বড় বা ভারী বানাবেন না। মনে রাখবেন সময় সবার কাছেই বড় মূল্যবান। সিভিতে নিজেকে সংক্ষেপে, স্মার্টলি তুলে ধরাই আপনার লক্ষ্য হবে।
১০) মিথ্যা তথ্য বা তথ্য গোপন করবেন না--সিভিতে মিথ্যা কথা একদম বলতে যাবেন না। পরে ধরা পড়ে গিয়ে চাকরি খোয়াতে পারেন।