নিজস্ব প্রতিবেদন: নতুন বছর শুরু হতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। দেখতে দেখতে ঠান্ডাটাও বেশ জাঁকিয়ে বসেছে। গত সপ্তাহ থেকেই তাই পার্টি, আউটিং শুরু হয়ে গিয়েছে পুরোদমে। কখনও অফিসের সহকর্মীদের সঙ্গে, কখনও আবার পাড়ায় বা পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে— একের পর এক পার্টি লেগেই রয়েছে। আর পার্টি হবে অথচ একটুও গলা ভিজবে না, তা-ও কি আবার হয়! আর পার্টিতে অ্যালকোহলে গলা ভেজালেই শরীরও নেতিয়ে পড়ে। শরীরের আর দোষ কী? অ্যালকোহলে গলা ভেজানোর সময় তো আর কারও ‘মাত্রা জ্ঞান’ থাকে না! ফলে পরের দিন বেলা পর্যন্ত হ্যাংওভার! আর এই হ্যাংওভারের জেরে অফিস কামাই। কিন্তু অফিসে ছুটি নেওয়ার কারণ দেখানোর সময় হয় যত সমস্যা! সেখানে তো আর বলা যায় না যে, হ্যাংওভারের ঠেলায় অফিস কামাই করতে বাধ্য হয়েছেন! তাই এর শরীর খারাপ, তার জ্বর, ওর পেট খারাপ... ইত্যাদি নানা বাহানা লেগেই থাকে! আপনার ম্যানেজার বা বস সব বুঝতে পেরেও কিছু বলতে পারেন না। কিন্তু এমনও অফিস আছে, যেখানে হ্যাংওভারের জেরে অফিস কামাই হলে ‘হ্যাংওভার সিক লিভ’ নেওয়ার সুবিধা পান কর্মীরা। তাই অযথা মিথ্যে বলারও প্রয়োজন হয় না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিশ্বাস হচ্ছে না! অবিশ্বাস্য হলেও এমনই অদ্ভুত ছুটির ব্যবস্থা রয়েছে ব্রিটেনের একটি কর্পোরেট সংস্থায়। সংস্থার নাম ডাইস (DICE)। জানা গিয়েছে, এই সংস্থার কর্মীরা হ্যাংওভারের ঠেলায় অফিস আসতে না পারলে শুধু ইমোজি দিয়েই একটা মেসেজ করে জানিয়ে দেন। ব্যস... সে দিনের মতো ছুটি! আর এর জন্য ঠিক কী ধরনের ইমোজি দেওয়া যেতে পারে, তা নিজেরা সহজেই আন্দাজ করে নিতে পারবেন।


ডাইস-এর প্রতিষ্ঠাতা ফিল হাচিওন জানান, কর্মীদের একে অপরের প্রতি বিশ্বাস আর আস্থা থাকাটা জরুরি। এই ধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে। তার জন্য অহেতুক মিথ্যে বলার কোনও প্রয়োজন নেই। তবে হ্যাঁ, যত খুশি নেওয়া যায় না এই ‘হ্যাংওভার সিক লিভ’। অন্যান্য ছুটির মতো এই বিশেষ ছুটির সংখ্যাও সীমিত। তাই বুঝে শুনেই খরচ করেন সবাই!