Mauni Amavasya: ত্র্যহস্পর্শ! শনিশ্চরী ও মৌনী অমাবস্যার সঙ্গে সূর্য-শুক্রের মিলন; কাটবে কালসর্প যোগ! জেনে নিন কবে, কখন...
Mauni Amavasya: স্নানের অতি বিশেষ গুরুত্ব এই তিথিতে। এদিন সংযতবাক থেকে স্নান ও উপবাস সঙ্গে পুজো করলে বিপুল পুণ্য অর্জন হয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মৌনী অমাবস্যা বা মাঘী তিথি এবছর পালিত হবে আগামীকাল, ২১ জানুয়ারি। লক্ষ লক্ষ ভক্তমানুষ এদিন গঙ্গায় স্নান করেন। এ তিথিতে স্নান ও দানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বিশ্বাস করা হয়, এই দিনে গঙ্গা স্নান করলে মানুষের সমস্ত পাপ নাশ হয়, অশেষ পুণ্য অর্জন হয়। পাশাপাশি সমস্ত রকমের মনস্কামনাও পূরণ হয়। ২০২৩ সালর ৭ জানুয়ারি থেকে মাঘ মাস শুরু হয়েছে। এই মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যাকে বলা হয় 'মৌনী অমাবস্যা' বা 'মাঘী তিথি'।
'মৌনী অমাবস্যা' বা 'মাঘী তিথি'
মৌনী অমাবস্যা অথবা মাঘী তিথির তারিখ ও সময়
এ বথর মৌনী অমাবস্যা কি দুদিন? মানে ২১ ও ২২ জানুয়ারি? না, ঠিক তা নয়। তবে মৌনী অমাবস্যার তিথি নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছুটা বিভ্রান্তি রয়েছে। কারণ তিথিটি দুদিনে ছড়িয়ে পড়়েছে। জেনে রাখুন, পাঁজিপুথি অনুসারে এ মাসের ২১ জানুয়ারি অমাবস্যা তিথি। এবার অমাবস্যা তিথি ২১ জানুয়ারি সকাল ৬টা ১৬ মিনিট থেকে শুরু হবে, যা পরদিন ২২ জানুয়ারি দুপুর ২টো ২২ মিনিট পর্যন্ত চলবে। যদিও উদয়তিথি অনুসারে, মৌন অমবস্যা দিনটি শুধুমাত্র ২১ জানুয়ারিই পালিত হবে।
মৌনী অমাবস্যার গুরুত্ব
আরও পড়ুন: Rahu Ketu Gochar 2023: নতুন বছরের শুরুতেই মারমুখী রাহু-কেতু, এই চার রাশির জাতকের জীবন হবে দুর্বিসহ!
শাস্ত্রে মৌনী অমাবস্যাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিনে মৌন অবলম্বন করে বা নীরবতা পালন করে গঙ্গাস্নান এবং দানধ্যান করা উচিত। তারিখটি পূর্বপুরুষদের জন্য উৎসর্গীকৃত বলে মনে করা হয়। পিতৃপক্ষের শান্তির জন্য এদিন তর্পণ করে পিতৃদোষ আর কালসর্প দোষ কাটানো যায়।
মৌনী অমাবস্যার বিশেষ তাৎপর্য
বিশ্বাস, মৌনী অমাবস্যায় স্নান এবং দান অনেক পুণ্যফল দেয়। এতে সাত জন্মের পাপ শেষ হয়। এ তিথিতে নীরবে উপবাস করলে বাক ত্রুটি দূর হওয়ার পাশাপাশি ইন্দ্রিয় নিয়ন্ত্রণের শক্তিও পাওয়া যায়। পাশাপাশি মৌনী অমাবস্যা বা মাঘী তিথিতে দেবতাকে অর্ঘ্য দান করলে পিতৃদোষ ও কালসর্প দোষও দূর হয়।
শনিশ্চরী অমাবস্যা বা শনি অমাবস্যা
আর এবার অমাবস্যা পড়ছে শনিবার। তাই একে শনিশ্চরী অমাবস্যাও বলা হয়। এমনিতেই এই শনিশ্চরী অমাবস্যার বিশেষ গুরুত্ব থাকে। শনিকে খুশি করার জন্য অতি সুনির্দিষ্ট দিন এটি। ১৭ জানুয়ারি থেকে শনি কুম্ভ থেকে মকর রাশিতে প্রবেশ করেছে। এর জেরে ধনু, কুম্ভ, মকর, তুলা এবং মিথুন রাশির মানুষের জন্য এটি বেশি করে স্পেশাল। এদিন শনিদেবতাকে কালো তিল দেওয়ার রীতি সঙ্গে তাঁকে উদ্দেশ্য করে অশ্বত্থ গাছের সামনে প্রদীপ জ্বালানোও হয়।
এসবের সঙ্গে রয়েছে এক বিরল যোগ। যা আসছে ৩০ বছর পরে। অনেকটা কাকতালীয় ঘটনা ঘটছে। পাঁজি অনুসারে, এবার ২১ জানুয়ারি অমাবস্যায় তৈরি হচ্ছে 'খপ্পর যোগ' হবে। যা শনির শুভ প্রভাব বাড়িয়ে দেবে। মকর রাশিতে সূর্য ও শুক্রের মিলনের ফলে এই খপ্পর যোগ তৈরি হচ্ছে।