ওয়েব ডেস্ক: পুরাণ তো শুধু শোনার বা পড়ার জন্য নয়। পুরাণ থেকেই তো নিতে হবে জীবনের শিক্ষা। তাহলেই যে আজকের আধুনিক যুগেও বদলে যাবে মানুষের জীবন। গড়বে সার্থক চরিত্র। সেইজন্যই গনেশ এবং কুবেরের গল্পটা ছোট্ট করে শুনুন। কুবের অর্থ-সম্পদের দেবতা। তিনি নিজের বিপুল অর্থর অহং জাহির করার জন্য একবার ঠিক করলেন যে, সব দেবতাদের নিমন্ত্রণ করবেন। সবাইকে নিমন্ত্রণ করার উদ্দেশ্য একটাই। নিজের অর্থ প্রাচুর্য দেখানো। সবাই আসার কথা দিলেন। কিন্তু শিবঠাকুর আর পার্বতী আসতে পারবেন না। তখন কুবের নিজে গেলেন নিমন্ত্রণ করতে। শিবঠাকুর বুঝলেন, নিমন্ত্রণের কোনও বিশেষ কারণ নেই। একমাত্র কুবের তাঁর ঐশ্বর্য দেখাতে চান বলেই এমন করছেন।জ্ঞাণী শিবঠাকুর বললেন, তাঁর ছেলে গনেশ আসবেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন বিশ্বের সর্বকালের সেরা চোর তাহলে এরাই!


কুবের তাতেই রাজি। আর ভাবলেন, দূর এ আবার কোনও ব্যাপার হল! একটি বালকই তো খাবে। কিন্তু কুবেরের বাড়িতে যা যা রান্না হয়েছিল, গনেশ সব খেয়ে নিল অবলীলায়। বলল, আরও খাবার আনতে। কুবের তখন পাশের গ্রামের থেকে খাবার আনালেন। কিন্তু সেটাও নিমেষে সাবাড় করে দিল গনেশ। তখন নিজের অপমান বাঁচাতে কুবের গেলেন শিবঠাকুরের কাছে। শিবঠাকুর সব শুনে মুচকি হেসে হাতে করে অল্প দুটো ভাত দিয়ে বললেন, এটা গনেশকে খাওয়াও। দেখবে, ওর পেট ভরে যাবে। সত্যিই তাই। গনেশ ওইটুকু ভাত খওয়া মাত্রই তাঁর পেট ভরে গেল! এ যাত্রায় বেঁচে গেলেন কুবের। আর বুঝলেন, অহংকার করে কী ভুল তিনি করেছেন। আমাদের জীবনেও এগুলো মেনে চলা উচিত। কাউকে খাওয়ানোটা যেন, তাঁর পেট ভরার থেকে বেশি করে নিজের ঐশ্বর্য দেখানোর বিষয় না হয়।


আরও পড়ুন  সব থেকে কম সময়ে টেস্টে ১১ হাজার রান করলেন কুক