নিজস্ব প্রতিবেদন: জগন্নাথদেবের একটি শতাব্দী প্রাচীন মন্দির। দেখতে অনেকটা বৌদ্ধ মঠের মতো। শোনা যায়, সম্রাট অশোকের শাসনকালে এই মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছিল। রথযাত্রা আর উল্টো রথের সময় সেজে ওঠে মন্দির। মন্দির প্রাঙ্গণে বড়সড় মেলাও বসে। পুজো আর মেলা উপলক্ষ্যে হাজার হাজার ভক্তদের সমাগম হয় এখানে। তবে রথের সময়টুকু বাদ দিয়ে এই মন্দিরকে সারা বছর লোকে ‘আবহাওয়া দফতর’ হিসাবে চেনেন। বিশেষ করে এলাকার কৃষকরা এই মন্দিরকে খুবই ‘জাগ্রত’ বলে মনে করেন। কারণ, কখন, কতটা বৃষ্টি হবে তা আগাম জানিয়ে দেয় এই মন্দির!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


উত্তরপ্রদেশের কানপুরের ভিতরগাঁও এলাকার জগন্নাথ মন্দিরের কথা বলছি। ভিতরগাঁও এলাকার বেহাতার ঘতমপুরে রয়েছে এই প্রাচীন মন্দিরটি। স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশ্বাস, কখন, কতটা বৃষ্টি হবে, ভারী, মাঝারি না ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হবে— সব কিছুরই নাকি আগাম ইঙ্গিত দেয় এই মন্দির! কী ভাবে? স্থানীয়দের বক্তব্য, বাইরে খটখটে রোদের মধ্যেও এই মন্দিরের ছাদ চুঁইয়ে বিন্দু বিন্দু জল পড়তে থাকে। অদ্ভুত মনে হলেও এমনটা হলে স্থানীয় কৃষকরা বুঝে যান, কয়েকদিনের মধ্যেই বৃষ্টি শুরু হতে পারে। স্থানীয়দের বিশ্বাস, বৃষ্টি শুরু হওয়ার ৬-৭ দিন আগেই তার পূর্বাভাস দেয় এই মন্দির।


আরও পড়ুন: মাকে ভারত ঘুরিয়ে দেখাতে ব্যাঙ্কের চাকরি ছেড়ে স্কুটার নিয়ে বেরিয়ে পড়ল ছেলে!


স্থানীয়দের কৃষকদের বক্তব্য, মন্দিরের ছাদ চুঁইয়ে পড়া জলের ফোঁটার পরিমাণ দেখে ভারী, মাঝারি না ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হবে তা আন্দাজ করা যায়। মজার বিষয় হল, বৃষ্টি শুরু হলে তখন আর মন্দিরের ছাদ চুঁইয়ে জল পড়া একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। মন্দিরের ছাদে তখন জলের চিহ্ন পর্যন্ত পাওয়া যায় না। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যুগ যুগ ধরে এ নিয়মের কোনও ব্যতিক্রম হয়নি।