নিজস্ব প্রতিবেদন: আয়নার সামনে দাঁড়ালেই চোখের নিচে অসংখ্য বলিরেখা, কানের কাছে পাক ধরা চুল, এ সব দেখলে কার না মন খারাপ হয়! পার্লারে গিয়ে নিয়মিত রূপচর্চার মাধ্যমে অনেকেই ত্বকে বা চেহারায় বয়সের ছাপ লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার খরচ নেহাত কম নয়। তাছাড়া পার্লারে গিয়ে নিয়মিত রূপচর্চার সময় অনেকেই পান না। তাই অ্যান্টি এজিং ভেষজ ফেসিয়াল মাস্ক ঘরেই তৈরি করে নিন। ফেসিয়াল মাস্ক তৈরির কৌশল জেনে নিন এই প্রতিবেদন থেকে। আলাদা আলাদা ধরনের ত্বকের জন্য রইল ৫ রকম অ্যান্টি এজিং ভেষজ ফেসিয়াল মাস্ক। আপনার ত্বকের ধরন বুঝে কাজে লাগান যে কোনও একটা আর উপকার পান হাতেনাতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১) ডিম ও মধুর ফেসমাস্ক (শুষ্ক ত্বকের জন্য):—


উপকরণ: ১টি ডিমের কুসুম, ১ চামচ দই, ১ চামচ মধু আর আধা চামচ আমন্ড অয়েল।


পদ্ধতি: একটি বড় পাত্রে সবকটি উপাদান একসঙ্গে নিয়ে ভাল করে নাড়তে থাকুন, যতক্ষণ না এটি গাঢ় আর আঠালো হচ্ছে। এ বার এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে অন্তত ১০ মিনিট রেখে সাবান দিয়ে মুখ ভাল করে ধুয়ে নিন।


মধু আপনার ত্বক স্নিগ্ধ করবে, আমন্ড আর ডিমের কুসুম ত্বককে মশ্চারাইজ করবে, দই ত্বককে পরিশোধিত আর সতেজ করবে।


২) অ্যাভোকোডা ও মধুর ফেসমাস্ক (স্বাভাবিক / সাধারণ ত্বকের জন্য):—


উপকরণ: ২ চামচ মধু, ২ চামচ অ্যাভোকোডা, ১টা ডিমের কুসুম।


পদ্ধতি: সবকটি উপাদান একসঙ্গে নিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করুন বা ভাল করে চটকে মেখে নিন। আপনার পরিষ্কার করে ধোয়া মুখের ত্বকে এই পেস্টটি মেখে অন্তত ০-২৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসিয়াল মাস্ক আপনার সাধারণ ত্বকে অ্যান্টি-এজিং-এর কাজ করবে। একই সঙ্গে আপনার ত্বককে করবে উজ্জ্বল।


৩) মধু ও গাজরের ফেসমাস্ক (তৈলাক্ত ত্বকের জন্য):—


উপকরণ: অর্ধেক গাজর আর আধা চামচ মধু।


পদ্ধতি: গাজর ভাল করে সিদ্ধ করে, চটকে পেস্ট বানিয়ে নিন। এ বার এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে মিনিট দশেক ফ্রিজে রেখে দিন। এর পর মুখ ধুয়ে এই পেস্ট আপনার পরিষ্কার করা ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিয়ে ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।


গাজরে থাকা ভিটামিন এ, সি আর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। মধুর মধ্যে থাকা ভেষজ উপাদান, এনজাইম আর সুগার ত্বকের লাবণ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক।


৪) মধু ও ল্যাভেন্ডার ফেসমাস্ক (সব ধরনের ত্বকের জন্য):—


উপকরণ: ১ চামচ মধু, ৩ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেন্সিয়াল অয়েল।


পদ্ধতি: উষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিয়ে এই দুটি উপাদান ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে ত্বকের উপর মাস্কের মতো লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট রেখে আবার উষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। অ্যান্টি-এজিং ফেসিয়াল মাস্ক হিসেবে এই মাস্কটি সব ধরনের ত্বকের ক্ষেত্রেই খুব উপকারি।


৫) মধু ও কলার ফেসমাস্ক (সংবেদনশীল (সেনসিটিভ) ত্বকের জন্য):—


উপকরণ: আধা চামচ মধু, ১টি পাকা কলা (চটকানো), দুধ দিয়ে সিদ্ধ করা ১ কাপ ওটমিল, ১টা ডিম।


পদ্ধতি: সবকটি উপাদান একসঙ্গে নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে আপনার ত্বকে সমান অনুপাতে লাগান। ১০-১৫ মিনিট মাস্কটি রেখে উষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।


ওটমিলে থাকা ভিটামিন ও মিনারেলস, এটি ত্বককে নিখুঁত ভাবে পরিষ্কার করে। কলায় থাকা ভিটামিন এ আ ডিমের লিকিথিন (lecithin) ত্বকের উপর প্রাকৃতিক প্রলেপের কাজ করে যা ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। তাছাড়া মধু ন্যাচারালি ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।