এই কৌশলে পিঁয়াজ কাটুন, চোখ জ্বলবে না!
এমন বেশ কিছু কৌশল আছে, যার সাহায্যে না কেঁদেই পিঁয়াজ কাটতে পারবেন আপনি। আসুন, এবার কৌশলগুলি জেনে নেওয়া যাক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পিঁয়াজ কাটতে গিয়ে একটুও চোখের জল ফেলতে হবে না, এ-ও কী সম্ভব! অবশ্যই সম্ভব। এমন বেশ কিছু কৌশল আছে, যার সাহায্যে না কেঁদেই পিঁয়াজ কাটতে পারবেন আপনি। আসুন, এবার কৌশলগুলি জেনে নেওয়া যাক।
১) প্রথমেই যেটা করা যায় তা হল পিঁয়াজের গোড়ার অংশটি (অর্থাৎ যেখানে মূল থাকে) ভাল করে কেটে ফেলে দেওয়া। সেই সঙ্গে পিঁয়াজের উপরের আস্তরটিও ফেলে দিন। কেননা বেশির ভাগ এনজাইম থাকে এই গোড়ায় ও ওপরের আস্তরণে।
২) পিঁয়াজ কুচি করতে চান? পিঁয়াজের শুকনো খোশা ছাড়িয়ে টুকরো করে জলতে ভিজিয়ে রাখুন। বেশ খানিকটা সময় পর জল বদলে ভাল করে ধুয়ে নিয়ে তারপর কাটুন, চোখ জ্বলবে না। ঠাণ্ডা জল দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে পারলে আরও ভাল হবে। জলতে নিঃসৃত এনজাইম ধুয়ে যাবে, ফলে চোখ জ্বলবে না।
আরও পড়ুন: ডিম পচা কিনা না ফাটিয়ে বুঝবেন কী করে? জেনে নিন...
৩) পিঁয়াজের শুকনো খোশা ছাড়িয়ে নিয়ে আধ ঘণ্টার মতো ফ্রিজে রেখে দিন। তারপর ভাল করে ধুয়ে নিয়ে টুকরো করুন বা কুচি করুন। ঠাণ্ডায় পিঁয়াজের এনজাইম নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়, ফলে চোখ জ্বলার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
৪) চপিং বোর্ডে ভিনেগার মাখিয়ে নিয়ে তারপর পিঁয়াজ কাটুন। ভিনেগারের অ্যাসিড এনজাইমকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এনজাইম নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে ঝাঁঝও বের হবে না, চোখও জ্বলবে না।
৫) পিঁয়াজ কাটার সময়ে একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখতে পারেন কাছে। এতে পিঁয়াজ থেকে নির্গত এনজাইমের ঝাঁঝ আপনার চোখের জলের সঙ্গে বিক্রিয়া করার আগেই আগুনের শিখা তাকে আকর্ষণ করবে।
আরও পড়ুন: অকালেই চুল পেকে যাচ্ছে! কাজে লাগান এই পদ্ধতিগুলি
৬) ধারালো ছুরি বা বটি ব্যবহার করুন পিঁয়াজ কাটার সময়ে। কেননা এতে কোষগুলো কম ক্ষতিগ্রস্ত হবে, ফলে এনজাইম কম নিঃসৃত হবে আর চোখও জ্বলবে কম।
৭) পিঁয়াজ কাটার সময় জোরে ফ্যান চালিয়ে নিন। এতে পিঁয়াজ থেকে নির্গত এনজাইমের ঝাঁঝ আপনার চোখ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবে না।
৮) পিঁয়াজ নুন জলতে ভিজিয়ে রাখুন মিনিট পনেরো, তারপর কাটুন। নুন জল চোখ জ্বলার জন্য দায়ী এনজাইমকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলবে।