নিজস্ব প্রতিবেদন: বেশির ভাগ মানুষই সবচেয়ে বেশি সচেতন নিজের মুখ নিয়ে। মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে পারলেই বয়স যেন থমকে যাবে আপনার কাছে! মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে নিয়মিত মুখের ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। মুখের সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা হল ব্ল্যাক হেডস-এর সমস্যা। শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের জন্য অনেকেরই মুখে ও নাকে ব্ল্যাক হেডস ওঠে। আর এই ব্ল্যাকহেডস নিয়ে অনেকেরই দুশ্চিন্তার অন্ত নেই! পার্লারে ফেসিয়াল, ঘরে নানান রকম দামী পণ্য ব্যবহার স্ক্র্যাবিং, ক্লিনিং ইত্যাদি কত কী করি আমরা! কিন্তু তার পরেও সমস্যা কিন্তু থেকেই যায়। ব্ল্যাকহেডস-এর এই সমস্যা পুরোপুরি দূর করতে আজ জেনে নিন ৩টি দুর্দান্ত কৌশল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

• হলুদের ব্যবহার:


রূপচর্চায় হলুদের ব্যবহার অতি প্রাচীন। রূপচর্চায় যুগ যুগ ধরে হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে। ঘরোয়া চিকিৎসাতেও হলুদের জুড়ি মেলা ভার। অসাধারণ ঔষধিগুণসম্পন্ন এই হলুদ ব্ল্যাকহেডস দূর করতেও কার্যকর। জেনে নেওয়া যাক ব্ল্যাকহেডস-এর এই সমস্যা মেটাতে হলুদের দুটি ব্যবহার।


১) পুদিনা পাতার রস করে নিন। এর মধ্যে গুঁড়ো হলুদ বা বাটা হলুদ দিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এ বার এই মিশ্রণ ব্ল্যাকহেডস আক্রান্ত জায়গাগুলোতে মাখিয়ে দিন। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে নিন।


২) হলুদ, চন্দনের গুঁড়ো এবং কাঁচা দুধ দিয়ে ঘন করে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এই মিশ্রণ ব্ল্যাকহেডস আক্রান্ত স্থানে মাখিয়ে অন্তত ১০ মিনিট রাখুন। এ বার জল দিয়ে ধুয়ে নিন।


এই দু’রকম মিশ্রণ সপ্তাহে অন্তত দু-তিন বার ব্যবহার করতে পারলে ব্ল্যাকহেডস-এর সমস্যা মিটে যাবে।


• মধুর ব্যবহার:


মধু একটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন একটি ভেষজ তরল। ভেষজ পদ্ধতিতে রূপচর্চায় মধু অপরিহার্য। চলুন, জেনে নেওয়া যাক মধু দিয়ে কী ভাবে ব্ল্যাকহেডস দূর করবেন।


মুখে ব্ল্যাকহেডস আক্রান্ত অংশে ভাল করে মধু মাখিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এই মধু ত্বককে কোমল রাখে আর লোমকূপকে রাখে সংকুচিত। ফলে ব্ল্যাকহেডস নিয়াময় হয়, নতুন ব্ল্যাকহেডস হয় না।