নিজস্ব প্রতিবেদন: যকৃৎ বা লিভার আমাদের দেহের সবচাইতে বড় কাজটি করে থাকে। দেহের যতো ক্ষতিকর টক্সিন জমে তা শুধুমাত্র লিভারের মাধ্যমেই শরীর থেকে বের হতে পারে। এই লিভার যদি তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায় তাহলে কী হতে পারে কখনও ভেবে দেখেছেন? আপনার শরীরে জমে যাওয়া টক্সিন শরীরেই থেকে যাবে। ফলে দেহের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ একে একে বিকল হয়ে যেতে থাকবে। তাই লিভারের কর্মক্ষমতা স্বাভাবিক রাখা অত্যন্ত জরুরী। আর লিভারের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা তখনই নিশ্চিত করা যায়, যখন পেট পরিষ্কার থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক যকৃৎ বা লিভারের সুস্থতায় অত্যন্ত কার্যকর কিছু ঘরোয়া টোটকা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১) লেবু আর উষ্ণ জল: বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্যান্য খাবারের তুলনায় উষ্ণ গরম জলেতে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস যকৃৎ বা লিভারে অনেক বেশি এনজাইম উৎপাদনে সহায়তা করে। এ ছাড়াও ভিটামিন সি গ্লুটেথিয়ন নামে যে এনজাইম উৎপন্ন করে, তা লিভারের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে লিভার সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। তাই অন্যান্য পানীয়র চেয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলেতে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এতে লিভার সুস্থ থাকবে, বাড়বে কর্মক্ষমতাও।


২) গ্রিন টি: গ্রিন টি-এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের ফ্রি রেডিকেল টক্সিসিটি দূর করে এবং আমাদের লিভার পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন এক থেকে দু কাপ গ্রিন টি পান করার ফলে লিভারে জমে থাকা টক্সিন দূর হয়ে যায় এবং গোটা শরীরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো সঠিক ভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়।


৩) রসুন: রসুনে রয়েছে সালফারের উপাদান যা লিভারের এঞ্জাইমের কার্যকারীতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এ ছাড়াও রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন ও সেলেনিয়াম যা লিভার পরিষ্কারের পাশাপাশি লিভারের সুস্থতা নিশ্চিত করে। তাই প্রতিদিন অন্তত এক কোয়া রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কাঁচা রসুন খেতে পারলেও ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে।


৪) পর্যাপ্ত জল পান করুন: দিনে প্রায় ৭-৮ গ্লাস (২.৫ লিটার থেকে ৩ লিটার) জল পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন। আমাদের দেহের প্রায় ৭০ শতাংশই হল জল। এই জলই শরীরের টক্সিন লিভারের মাধ্যমে ছেঁকে বের করতে সহায়তা করে। যখনই শরীরে জলের অভাব হবে, তখন লিভারে ও শরীরে টক্সিন জমতে থাকে যা শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গেরও ক্ষতি করে। তাই লিভারের সুস্থতায় পর্যাপ্ত জল পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।