নিজস্ব প্রতিবেদন: ৮ সেপ্টেম্বর, আজ কৌশিকী অমাবস্যা। শনিবার রাত ১:৫২ মিনিট থেকে পরের দিন রাত ১১:৪০ মিনিট পর্যন্ত থাকছে এই অমাবস্যার সময়কাল। তারাপীঠে অমাবস্যার এই বিশেষ তিথি উপলক্ষ্যে তারা মায়ের বিশেষ নিশি পূজা আয়োজিত হয়। মহাভোগ ও মহা রাজবেশ সহকারে মায়ের এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই অমাবস্যার আরেক নাম তারা রাত্রি৷ তন্ত্র সাধনার জন্য আজকের এই অমাবস্যাকে খুবই গুরুত্বপুর্ণ বলে মনে করা হয়। তন্ত্র শাস্ত্রের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, আজকের দিনে করলে আশাতীত ফল মেলে, সাধক কুন্ডলিনী চক্রকে জয় করে। শোনা যায়, কৌশিকী অমাবস্যার দিনেই তারাপীঠ মহাশ্মশানের শ্বেতশিমূল বৃক্ষের তলায় মা তারার অরাধনায় সাধক বামা ক্ষ্যাপা সিদ্ধি লাভ করেন। তাই এই পীঠকে 'সিদ্ধিপীঠ' বলা হয়।


কথিত আছে, শুম্ভ-নিশুম্ভের অসুরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন স্বর্গের দেবতারা। শেষে দেবতারা মহামায়ার তপস্যা শুরু করেন। সেই তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে দেবী কালী শীতল মানস সরোবরের জলে স্নান করে নিজের দেহের সব কালো কোশিকা পরিত্যাগ করলেন ও পূর্নিমার চাদের মতো গাত্র বর্ণ ধারণ করলেন। হয়ে উঠলেন অপূর্ব সুন্দর কৃষ্ণবর্ণা দেবী কৌশিকী। কৌশিকী রূপে মহামায়া এই বিশেষ তিথিতেই 'শুম্ভ' ও 'নিশুম্ভ' নামের দুই অসুরকে বধ করেন। তাই আজকের দিনের এই বিশেষ তিথিতে মা তারাকে তারাপীঠে "কৌশিকী" রূপে পূজা করা হয়।


অনেকেই বিশ্বাস করেন, এই দিন মা তারার পুজো দিলে এবং দ্বারকা নদীতে স্নান করলে পুণ্যলাভ হয় এবং কুম্ভস্নান করা হয়। এই বিশ্বাসে আজও ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ওই দিনটিতে তারাপীঠে ছুটে আসেন। তারাপীঠে শনি ও রবি, দুই দিন ধরেই এই অমাবস্যার বিশেষ পূজা উপলক্ষ্যে প্রবল ভক্তসমাগমের সম্ভাবনা রয়েছে।