কোনও ব্যক্তির হস্তরেখা থেকে তাঁর ব্যাক্তিত্ব বা ভাগ্য সম্পর্কে অনেক কিছুই বলে দেওয়া সম্ভব। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, কোনও ব্যক্তির হস্তরেখা তাঁর ব্যাক্তিত্ব বা ভাগ্য নির্ধারণে সহায়ক হয়ে ওঠে। আজ হৃদয়রেখা সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হৃদয়রেখা সাধারণত তর্জনীর নিচে বৃহস্পতির ক্ষেত্র থেকে শুরু করে কনিষ্ঠার মূল দেশ পর্যন্ত প্রসারিত হয়। স্বাভাবিক ভাবে হৃদয়রেখা গভীর, সুস্পষ্ট এবং উজ্জ্বল হওয়া উচিত। অনেক ক্ষেত্রে হৃদয়রেখা রবির স্থানে এসে থেমে যায়। এই হৃদয়রেখা করতলের পাঁচটি ভিন্ন জায়গা থেকে বের হতে পারে। যেমন,...


১) বৃহস্পতির ক্ষেত্রের উপর থেকে।


২) বৃহস্পতি ক্ষেত্রের মাঝামাঝি থেকে।


৩) তর্জনীর এবং মধ্যমার মাঝামাঝি থেকে।


৪) শনির ক্ষেত্রের উপরিভাগ থেকে।


৫) শনির ক্ষেত্রের নিচ থেকে।


এ বার জেনে নেওয়া যাক হৃদয়রেখার কোন অবস্থানের কী অর্থ!


তর্জনীর একেবারে মূল দেশ থেকে হৃদয়রেখা উত্থিত হলে, তা গভীর প্রেমের সুচনা করে। এমন রেখা বিশিষ্ট স্ত্রী-পুরুষ গভীর প্রেমরোগে সংলগ্ন থাকে। এরা নিজেদের দোষ ত্রুটি দেখতে পায় না।


কোনও কোনও স্ত্রী-পুরুষের হৃদয়রেখায় অনেক ছোট ছোট নীচের দিক থেকে আসতে দেখা যায়। এমন রেখার অধিকারী পুরুষ অল্প সময়ের মধ্যেই প্রেম পাশে বাঁধা পড়ে। কিন্তু এদের প্রেম স্থায়ী হয় না। এমন জাতকের মনোভাব জানতে পারা কিংবা তাঁর হৃদয়কে আকর্ষণ করা খুব কঠিন।


শনির ক্ষেত্রের নীচ দিক থেকে উত্থিত হলে এরা নিজেদের নিয়ে তৃপ্ত থাকে। আত্মকেন্দ্রিকতা ও স্বজন-পোষণ নীতি গ্রহণ করে থাকে। তবে এরা নিজের ভালো সবার আগে চায়।


শনির ক্ষেত্র পর্যন্ত যদি এটি বিস্তৃত হয়, তাহলে সেই পুরুষ প্রেমের ব্যাপারে স্বার্থপর ও প্রেমের জন্য সে যথা সর্বস্ব ত্যাগ পর্যন্ত করতে পারে। এরা দাতা, সমাজ-সংস্কারক, পরহিতৈষী এবং নানা প্রতিভাকে কাজে লাগাতে পারে।


যদি কোনও জাতকের হৃদয়রেখা শিরোরেখার দিকে ঝুঁকে থাকে, তবে সেই জাতক অত্যন্ত চতুর, কর্মঠ ও বাস্তববাদী হয়।