নিজস্ব প্রতিবেদন: আজকাল বাজারে যে রত্ন পাওয়া যায় তার রঙ ও ঔজ্জল্য দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। এই সব পাথর থেকে বর্ণচ্ছটার আভা দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল এই রত্ন পাথরের ভিড়ে কি করে চিনবেন কোনটা আসল আর কোনটা নকল? এর সঠিক উত্তর দিতে পারেন কেবল মাত্র একজন রত্নবিশেষজ্ঞ বা জেমোলজিস্ট। আজ পান্না চেনার সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পান্না এমন একটি রত্ন, জ্যোতিষশাস্ত্র মতে ধারণ করতে পারলে জাতক-জাতিকার ভাগ্য বদলে দিতে পারে। আবার অলঙ্কার হিসেবেও যুগ যুগ ধরে এই রত্নের ব্যবহার হয়ে আসছে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, যে সব জাতক-জাতিকার রাশিচক্রে বুধ খারাপ তাদের পান্না ধারণ করা উচিত। অবশ্যই বুধবার এই রত্ন শোধন করে ধারণ করতে হবে। তবে মাথায় রাখতে হবে, যে কোনও রত্নই তিন মাস পর থেকে ফল দেয়। উপরত্ন ফল দেয় ছয় মাস পরে। এ বার জেনে নেওয়া যাক খাঁটি মুক্তো চেনার উপায়।


পান্না চেনার সহজ উপায়:


পান্নাকে জলে ফেলে রাখলে সবুজ বর্ণের আলোর ছটা দেখতে পাওয়া যায়।


সাদা কাপড়ের ওপর পান্না রেখে একটু উঁচুতে তুলে ধরলে সাদা কাপড় সবুজ আভা দেখা যায়।


এই দুটি ঘরোয়া পদ্ধতিতে পান্না খাঁটি কিনা তা সহজে বোঝা যায়।


এছাড়াও আসল পান্না চেনার উপায় হল, যে সব পান্নার বর্ণ নিমপাতার মতো হয় ও তাতে হলুদ ঝলক দেখা যায়, সেই সব পান্না উত্কৃষ্ট। সব থেকে ভাল পান্না সবুজ বর্ণ, উজ্জ্বলতা পূর্ণ এবং হালকা আভা দেখা যায়।


পান্নার আয়ুবের্দিক শোধনের পদ্ধতি:


রত্ন ধারণ করার আগে তা শোধন করে নেওয়া উচিত। শোধন করে না পড়লে তার কোনও কার্যকারিতা থাকে না। পান্না শোধন করা কোনও কঠিন কাজ নয়। কাঁচা দুধে চব্বিশ ঘন্টা পান্নাকে ডুবিয়ে রাখতে হবে। এর পর বুধবার দিন সেই পাথর ধারণ করলেই ফল মিলবে।


পান্নার প্রাপ্তিস্থান:


পান্না সাধারণত কলম্বিয়া আর ব্রাজিলে পাওয়া যায়। কলম্বিয়ার পান্না সর্বশ্রেষ্ঠ। তাই এর দামও বেশি। এটি দেখতে হয় স্বচ্ছ সবুজ। তারপরে আসে ব্রাজিলীয় পান্না। এটি দেখতে কালচে বা ঘোলাটে সবুজ।