নিজস্ব প্রতিবেদন: আট থেকে আশি— ডিম প্রায় প্রতি দিনই সব বাড়িতে কম-বেশি আনা হয়। বাড়িতে ছোট শিশু থাকলে এর প্রয়োজন আরও বেড়ে যায়। তবে সাদা ডিম না কি লালচে খোলার ডিম— কোনটা ভাল, কোনটা খাওয়া বেশি উপকারী, এ নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছেই। তবে এ বিষয়ে ধারণা স্পষ্ট করার আগে জেনে নিন ডিমের এই রঙের ফারাক হয় কেন!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজ্ঞানীদের মতে, সাদা পালকের মুরগিরা সাদা ডিম পাড়ে আর লাল ডিম পাড়ে গাঢ় রঙের পালকের মুরগি। এই দুই ধরনের ডিমের ক্ষেত্রে কি পুষ্টিগুণ বদলে যেতে পারে? সম্প্রতি এই নিয়ে একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, এই দুই ধরনের ডিমের পুষ্টিগুণে বিশেষ কোনও ফারাক নেই। নিউ ইয়র্কের এক দল গবেষকও এ বিষয়ে একমত। তবে মার্কিন গবেষকদের মতে, লাল ডিমে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমান সাদা ডিমের তুলনায় সামান্য বেশি রয়েছে। কিন্তু এই পরিমাণ এতটাই অল্প, যে তাতে পুষ্টিগুণে খুব একটা ফারাক হয় না।


ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)-র গবেষকদের মতে, একটি মোটামুটি ৫০ গ্রাম ওজনের ডিমে ৭২ ক্যালোরি ও ৪.৭৫ গ্রাম ফ্যাট ( যার মধ্যে দ্রবণীয় মাত্র ১.৫ গ্রাম)। সাদা ও লাল ডিমে এই পুষ্টিগুণের পরিমাণ প্রায় এক। সুতরাং, লাল হোক বা সাদা, দু’ধরনের ডিমের খাদ্যগুণই পুষ্টিগুণ যে প্রায় সমান— সে কথাই মেনে নিচ্ছেন বিশ্বের বেশির ভাগ পুষ্টিবিদই।


কিন্তু লাল আর সাদা ডিমের পুষ্টিগুণ প্রায় এক হলেও দুটির স্বাদের ফারাক কতটা?


গবেষকদের মতে, ডিমের স্বাদ নির্ভর করে মুরগির খাদ্যাভ্যাসের উপর বা মুরগির প্রজনন করানোর পদ্ধতির উপর। তাই ডিমের রং ডিমের স্বাদের ফারাক ঘটাতে পারে না।