What Happens After Person Die: মরে গেলে কোথায় যায় মানুষ? সে কি ভূত, না আত্মা? কী বলছেন এ শহরের ভূতের গোয়েন্দা...
What Happens After Person Die: মানুষ মরে গেলে কোথায় যায়? কী ঘটে ? মানুষ কি ভূত হয়, নাকি আত্মা? সার্ভাইভ্যাল হাইপোথিসিস বলে একটা বিষয় আছে, যা বলে, মারা যাওয়ার পরেও বেশ কিছুক্ষণ মানুষের চেতনা থাকে। কী ভাবে? না কোনও বুজরুকি নয়, এ হল বিজ্ঞান।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভূত, আত্মা, স্পিরিট, ঘোস্ট, সুপারন্যাচারল এগজিস্টেন্স ইত্যাদি নিয়ে মানুষের বহুদিনের আগ্রহ। শুধু আগ্রহ নয়, সঙ্গে রয়েছে ভয়, আশঙ্কাও। মানুষ মরে গেলে কোথায় যায়? কী ঘটে ? মানুষ কি ভূত হয়, নাকি আত্মা? সার্ভাইভ্যাল হাইপোথিসিস বলে একটা বিষয় আছে, যা বলে, মারা যাওয়ার পরেও বেশ কিছুক্ষণ মানুষের চেতনা থাকে। কী ভাবে? না কোনও বুজরুকি নয়, এ হল বিজ্ঞান। সেই বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন এ শহরের 'ডিটেকটিভস অফ সুপারন্যাচারাল'। 'ডিটেকটিভস অফ সুপারন্যাচারালে'র ফাউন্ডার প্রতিষ্ঠাতা দেবরাজ সান্যাল এবং তাঁর সঙ্গে 'ডিরেক্টর অফ ডিটেকটিভস অফ সুপারন্যাচারাল' ঈশিতা দাস সান্যাল।
আরও পড়ুন: Shani Rashi Parivartan: শনির সাড়সাতির কোপে এই ৩ রাশি, কীভাবে কাটাবেন বিপদ?
ভূত-আত্মা ইত্যাদি নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে 'ফাউন্ডার অফ ডিটেকটিভস অফ সুপারন্যাচারাল' দেবরাজ সান্যাল এবং 'ডিরেক্টর অফ ডিটেকটিভস অফ সুপারন্যাচারাল' ঈশিতা দাস সান্যাল বলছেন-- মানুষের মস্তিষ্ক একটি কম্পিউটিং ডিভাইসের মতো তবে তা অর্গ্যানিক, সজীব। একজন জীবিত মানুষ যখন কোনো কিছু ভাবেন তখন তাঁর মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রের মধ্যে দিয়ে ইলেকট্রন ও প্রোটনের দেওয়া-নেওয়া হয়। এর জেরেই যে কোনও পারসেপশন তাঁর কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তিনি বেঁচে থাকাকালীন এটা সারাক্ষণ দারুণভাবে ঘটে চলেছে।
এখন, কোনও মানুষ যদি হঠাৎ মারা যান-- যদি কোনও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে বা খুনের ঘটনা ঘটে বা দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘটে তখন যিনি এভাবে মারা গেলেন তাঁর মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্র ঘিরে ইলেকট্রন-প্রোটনের দেওয়া-নেওয়াটা তো আর সঙ্গে সঙ্গে মরে গেল না। ফলত, দেহ মরলেও, দেহকে ঘিরে যে-অদৃশ্য ক্রিয়া সেটা চলতেই থাকল। ইলেকট্রন প্রোটনের এই দেওয়া-নেওয়াটাই পরে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড (EMF) তৈরি করে দেয়, যার জেরে মনে হয়, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলটিতে 'কিছু আছে'। এই 'কিছু'টা কী? ভূত, নাকি আত্মা? না, এসব কিছুই নয়। দেবরাজ সান্যাল বলছেন, এটা এনার্জি, শক্তি। আমরা তো ছোট থেকে এটাই জেনে বড় হয়েছি যে, শক্তি নতুন করে তৈরিও হয় না, তা ক্ষয়েও যায় না। সে শুধু পরিবর্তিত হয়, তার অবস্থাগত বা অবস্থানগত রূপটা বদলে যায়।
দেবরাজ-ঈশিতা বলছেন-- ভাবুন, আমাদের মোবাইল ফোন কীভাবে কাজ করে! এটাও আমাদের ব্রেনের মতো একটা কম্পিউটিং সিস্টেমই। তবে, সেটা মস্তিষ্কের মতো অর্গ্যানিক নয়, সজীব নয়। অর্গ্যানিক হার্ডওয়্যার ব্রেনের মতো নন-অর্গ্যানিক হার্ডওয়্যার মোবাইল মারফতও ভাবনার আদান-প্রদান হয়। আমরা মেসেজ চালাচালি করি না? এটাও তো ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ডেই কাজ করে। এক মোবাইল থেকে বেরিয়ে মেসেজ যখন অন্য মোবাইলে পৌছচ্ছে, সেটা কীভাবে যাচ্ছে? একটি মোবাইল-দেহ থেকে শক্তি-তরঙ্গ বেরিয়ে অন্য মোবাইল-দেহে প্রবেশ করছে! কাজের ধরনটা আলাদা, কিন্তু কাজের পিছনের তত্ত্বটা অভিন্ন।
আর একটা ব্যাপারও আছে-- 'রিমোট ভিউয়িং'(মার্কিন সরকার বিষয়টি নিয়ে কাজও করেছে)। দেবরাজ-ঈশিতা ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, এটা এমন এক প্রসেস, যাতে কোনও ব্যক্তি কোনও নির্দিষ্ট স্থানে শারীরিক ভাবে উপস্থিত না থেকেও সেখানে তাঁর ভাবনা পৌঁছে দিতে পারেন! এর পোশাকি কয়েনেজ-- 'ওবিই'; 'আউট অফ বডি এক্সপিরিয়েন্স' (OBE)। যদি একটা পরিসীমিত পদ্ধতিতে মানে, 'কন্ট্রোল্ড ওয়ে'তে এই 'আউট অফ বডি এক্সপিরিয়েন্স' ঘটতে পারে, 'আন-কন্ট্রোল্ড ওয়ে'তেও কি তা হতে পারে না? হয় বৈকি! হয়ে বলেই তো কোনও একটা জায়গা তথাকথিত ভুতূড়ে হয়ে ওঠে, হয়ে ওঠে 'সোকল্ড হন্টেড'! এই হন্টিং দু'ধরনের। রেসিডুয়াল আর ইনটেলিজেন্ট। রেসিডুয়াল হন্টিং অনেকটা 'ইকো'র মতো। এটা যেন অতীতের প্রতিধ্বনি/প্রতিচ্ছবি। একটা স্পিরিটের যেন ছায়া ফেলে যাওয়া।
প্রাণ আছে, এমন জিনিসই রিয়্যাক্ট করে, জড় সচরাচর রিয়্যাক্ট করে না। এই যে রিয়্যাকশন সেটা কনসিয়াসনেসের জন্যই হয়। প্রত্যেক লিভিং অর্গানিজমই কনসিয়াস। তবে মানুষের মধ্যে এই কনসিয়াসনেসের চূড়ান্ত দেখা যায়। আবেগের দিক থেকেও মানুষই চূড়ান্ত নিদর্শনস্থল। ফলে 'ফিজিক্যাল ডেথে'র পরেও এই 'সার্ভাইভ্যাল অফ দ্য কনসিয়াসনেস'টা থেকে যেতে পারে।