ওয়েব ডেস্ক : মৃত্যু অমোঘ। আমাদের সবাইকেই কখনও না কখনও কোনও না কোনও মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়। সে পরিবারের কারোরই হোক। বা প্রিয় পোষ্যের হোক। নিজের মৃত্যুর কথা তো ছেড়েই দিলাম। জন্মেছি যখন, মরতে তো হবেই... এই পৃথিবীতে প্রতি মিনিটে ১০০ জন মানুষের মৃত্যু হয়। কিন্তু মরার সময় কী হয়?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মৃত্যুর পর প্রথম কয়েক সেকেন্ডে শরীর থেকে বেঁচে থাকা অক্সিজেন বেরিয়ে যায়। মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে ঝিমিয়ে পড়তে থাকে। নিউরন কাজ করা বন্ধ করে দেওয়ায়, মস্তিষ্ক হরমোন ক্ষরণ বন্ধ করে দেয়। এই হরমোনগুলিও বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজ চালায়।


তখনও অবশ্য কয়েক মিনিটের জন্য কিছু কিছু শারীরবৃত্তীয় কাজ চলতে থাকে। শরীরে সঞ্চিত ATP এই কাজের শক্তি যোগায়। শরীরের শক্তির মূল উত্স হল ATP। এইসময় মাংসপেশী শিথিল হয়ে যায়। স্ফিংটার কাজ করা বন্ধ করে দেয়।


মৃত্যুর ১৫ থেকে ২৫ মিনিট পর ধমনী দিয়ে রক্তপ্রবাহ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চামড়ার রং হয় ফ্যাকাসে। হৃদপিণ্ড পাম্প করা বন্ধ করে দেওয়াতেই, বন্ধ হয়ে যায় রক্ত সঞ্চালন। মাধ্যাকর্ষণের ফলে তখন দেহের নিম্নভাগে এসে জমা হয় সব রক্ত। এর কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই ত্বকের রং লালচে বেগনী হতে শুরু করে। ১২ ঘণ্টার মধ্যে সারা শরীরটাই লালচে বেগনী রঙের হয়ে যায়। এখন এই সময়ের হিসেব করেই তদন্তকারীরা মৃত্যুর সময় নির্ধারণ করে থাকেন।


দেহের রাইগর মর্টিস হয় ৩ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে। যার ফলে শরীর সম্পূর্ণভাবে আড়ষ্ট হয়ে যায়। শরীরের নমনীয়তা চলে যায়। ৪৮ ঘণ্টা পর থেকে শুরু হয় দেহের পচন। ধীরে ধীরে মাইকোব্যাকটেরিয়া হাড় ছাড়া শরীরের বাদবাকি অংশ খেয়ে ফেলে। পরে থাকে শুধু কঙ্কাল।