ওয়েব ডেস্ক: মেয়েদের ক্ষেত্রে মা হওয়ার সঠিক বয়স নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রধান বিচার্য বিষয় হয় শরীর। কিন্তু পুরুষের ক্ষেত্রে শুধু শরীর নয়, তার সঙ্গে আরও অনেক কিছু। এটা ঠিক যে, পুরুষের উপরেই শুধু সংসার চালানোর দায়িত্ব এমন ধারণা এখন পুরনো। তবুও, বড় দায়িত্বটা থেকে যায় ছেলেদেরই। তাই ছেলেদের সংসার শুরু করার, বাবা হওয়ার জন্য অনেক প্রস্তুতি নিতে হয়। আর শারীরিক প্রস্তুতির থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক ও মানসিক প্রস্তুতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২৫ বছর বয়স হলেই অনেক ছেলে ‘বিয়ে-বিয়ে’ করতে শুরু করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেটা বাস্তবায়িত হয় ৩০-এর পরে। ইদানীং বহু ছেলেই ৩৫ পার করে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। কারণ, চাকরি বা ব্যাবসা শুরু করে প্রতিষ্ঠিত হওয়া, বাড়ি-ঘর বানানো, বিভিন্ন পারিবারিক দায়িত্ব সামলাতে সামলাতে ৩৫ বছর বয়স হয়ে যায়। অনেকের ক্ষেত্রে আরও সময় লাগে। এর পরে বিয়ে, তার পরে সন্তান। বিশেষজ্ঞদের মতটা জেনে নিন


এটা ঠিক যে শারীরিকভাবে নারীর তুলনায় পুরুষ বেশিদিন সক্ষম থাকে। তাছাড়া সন্তানের জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকাও অনেক কম। তবে বয়স ৪০ টপকালেই বিভিন্ন অসুখ শরীরে বাসা বাঁধতে থাকে। আর তাতে অনেক সময়েই স্পার্ম কাউন্ট কমে। এর ফলে সন্তানের জন্মদান সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়। তাই চিকিৎসকরা বলছেন, ৪০ বছর পার করার আগেই বাবা হওয়া উচিত। বেশি বয়সে সন্তান হলে শিশুর শারীরিক সমস্যার সম্ভাবনাও থাকে।


বেশি বয়সে পিতৃত্ব আরও বড় সমস্যা তৈরি করে সন্তান প্রতিপালনের ক্ষেত্রে। সাধারণভাবে একজন মানুষের আয় বেশি থাকে ৩৫ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে সন্তানকে বড় করে তোলা আর্থিক দিক থেকে সহজ। তাছাড়া, বেশি বয়সে সন্তান মানে ছেলেমেয়ের সঙ্গে বয়সের ফারাকটাও বেড়ে যাওয়া। আর সেই ফারাক মানসিক দূরত্ব তৈরি করে।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা হওয়ার ক্ষেত্রে একটা হিসেব মাথায় রাখা উচিত যাতে ৫৪ বছর বয়সের মধ্যে প্রথম সন্তান গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করতে পারে। সেই হিসেবে ৩৩ বছর বয়সটাই বাবা হওয়ার জন্য উপযুক্ত সময়। তবে শেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, প্রত্যেকের ব্যক্তিগত পরিস্থিতি বিবেচনা করে।