Heat Wave: আকাশে আগুন, বাতাস লু! ভয়ংকর এই গরমে কী খাবেন, কখন রাস্তায় বেরোবেন, কী করবেন না...
How to Combat Heat Wave: গরমে কী করবেন, কী করবেন না-- এ নিয়ে বহু মানুষের নানা প্রশ্ন থাকে। সব চেয়ে বড় কথা, অসুস্থ হয়ে পড়লে আগে তার চিকিৎসা শুরু করা জরুরি। রীতিমতো চোখ রাঙাচ্ছে গরম। তাই আগেভাগে সাবধান হতেই হবে। কী ভাবে চলবেন রইল তার কিছু টিপস।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রীতিমতো চোখ রাঙাচ্ছে গরম। বলা হচ্ছে, নববর্ষের আবহে তাপমাত্রা চড়বে আরও। এখনই সাধারণ মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে ক্রমশ বাড়তে থাকা এই তাপপ্রবাহ ও আর্দ্রতা। প্রতিবারই লাগামছাড়া গরমে নানা দুর্ঘটনা ঘটে। হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন বহু মানুষ। হিটস্ট্রোকে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। হিটস্ট্রোক ছাড়াও আরও নানা জটিলতা দেখা দেয় এ সময়ে। ফলে গরমে কী ভাবে চলতে হবে এ নিয়ে সকলেরই একটা আগ্রহ থাকে। এ সময়ে কী করবেন কী করবেন না?
আপনার জন্য রইল জরুরি পরামর্শ:
১) দিনের কোন সময়ে কাজ করবেন--
সাধারণত সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যেই বাইরের কাজ যতটা সম্ভব করে নেওয়া ভালো। এরপরই তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে। একান্ত না পারলে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা। সূর্য মাথায় ওঠার আগেই বাইরের কাজ সেরে নেওয়া উচিত। তবে যেসব পেশার মানুষকে রাস্তায় ঘুরেই কাজ করতে হয়, তাঁদের একটানা রোদে থাকা উচিত নয়। রোদে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকাও ঠিক নয়।
আরও পড়ুন: Kedara Yoga: ৫০০ বছর পরে বিরল কেদার যোগ! প্রেমে-প্রাপ্তিতে-অর্থে-সৌভাগ্যে ভেসে যাবে যে-যে রাশি...
২) দিনের কোন সময়ে কোনও ভাবেই বাইরে থাকবেন না--
দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ২টো-- এই সময়ে সূর্য মাথার উপর থেকে সরলেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এই সময়েই থাকে। খুব প্রয়োজন না-থাকলে এ সময়ে বাইরে না-বেরোনোই ভালো। বেরোলেও কিছুক্ষণ অন্তর রোদ থেকে ছায়ায় চলে আসা জরুরি। সামান্য অসুস্থতা বোধ হলেও সেটাকে গুরুত্ব দিতে হবে। তেষ্টা না-পেলেও জল খেতে হবে। মাথা ও কাঁধে ক্রমাগত রোদ লাগা এড়িয়ে চলতে হবে।
৩) গরমের মোকাবিলায় কী করবেন--
হালকা সুতির পোশাক পরুন। ছাতা ও টুপি (ক্যাপ নয়, হ্যাট) কিংবা ভিজে গামছা/তোয়ালে ব্যবহার করুন
রোজ কমপক্ষে ৩-৪ লিটার (৮-১০ গ্লাস) জলপান। কিডনির সমস্যা থাকলে, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে জলের পরিমাণ বাড়ান। নিষেধ না থাকলে নুন-চিনির জল আরও ভালো
সহজপাচ্য খাবার খান। যেমন-- দই, ঘোল, লস্যি, পাতলা ঝোল, ডাল। টাটকা স্যালাড আর ফল রাখুন মেনুতে
গরম থেকে এসি-তে ঢোকার সময়ে নাকে রুমাল চেপে ঢুকুন। ৩০ সেকেন্ড পর রুমাল সরান। বেরোনোর সময়েও এক ফর্মুলা।
দিনে দু’বেলা ভালো করে ঠান্ডা জলে স্নান করুন
কাজের মাঝে বারবার মাথায়-মুখে-চোখে-ঘাড়ে জলের ঝাপটা দিন
৪) গরমে কোনগুলি কোনও ভাবেই করা চলবে না—
প্রয়োজন ছাড়া রোদে বেরোবেন না। বেশি করে সাবধানে থাকবেন উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ডায়াবিটিসের রোগী এবং বয়স্করা
রোদে মাথা ঘোরা বা মাথা ঝিমঝিম শুরু হলেই সতর্ক হোন, একেবারেই অবহেলা করবেন না
বাইরের জল, কাটা ফল, রাস্তার ধার থেকে খোলা ফলের রস নয়
বারবার এসি-তে ঢোকা-বেরনো এড়িয়ে চলুন। এসি-র তাপমাত্রাও খুব কম রাখুন-- পারলে ২২-২৪ ডিগ্রির মধ্যে
ট্যালকম পাউডার এড়িয়ে চলুন। এতে রোমকূপ বন্ধ হয়ে গিয়ে ঘাম বেরনো ব্যাহত হয়। ফলে শরীর ঠান্ডা রাখার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়