ওয়েব ডেস্ক: অষ্টোত্তর শতনাম হোক কিংবা সূর্য নমস্কার-হিন্দুদের বিভিন্ন প্রথায় ১০৮ সংখ্যাটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত৷ কিন্তু কেন শুধু ১০৮? কেন অন্য কোনও সংখ্যাকে বেছে নেওয়া হল না! 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যদি মনে করা হয় শুধু ধর্মীয় কারণে এই সংখ্যা বেছে নেওয়া হয়েছে তাহলে ভুল ব্যাখ্যা হবে৷ কেননা সেটাই একমাত্র কারণ নয়৷ এর সঙ্গে যেমন মিশে আছে বিশ্বাস তেমন জড়িয়ে আছে তখনকার জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের অঙ্কও৷


প্রথমে আসা যাক বিশ্বাসের কথায়৷ বৈদিক তত্ত্ব অনুযায়ী ১০৮ সংখ্যাটি গোটা মহাবিশ্বের প্রতীক৷ অর্থাৎ মহাবিশ্বের অস্তিত্বের প্রমাণ হয় এই সংখ্যাটিতেই৷ আরও বিশ্বাস করা হত যে, আমাদের দেশে ১০৮টি পবিত্র তীর্থস্থান আছে৷ এছাড়া চারটি বেদ মিলিয়ে মোট উপনিষদের সংখ্যাও ১০৮৷ 


এখানেই শেষ নয়৷ একসময় বিশ্বাস করা হত, পৃথিবী থেকে চাঁদ ও সূর্যের যা দূরত্ব, তা পৃথিবীর ব্যাসের ১০৮ গুণ৷ একইরকমভাবে মনে করা হত, মানুষের পার্থিব দেহের বাইরের অংশ আর অন্তরাত্মার দূরত্ব ১০৮ একক৷


শক্তির প্রতীক দেবাদিদেব মহাদেবের নৃত্যের ভঙ্গি হিসেবে ধরা হয় ভরতনাট্যমকে৷ এই নৃত্যেরও ১০৮টি মুদ্রা রয়েছে৷


দেহতত্বেও এই সংখ্যাটির গুরুত্ব আছে৷ মনে করা হয়, আমাদের শরীরে ১০৮টি বিশেষ জায়গা আছে যেগুলির মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব৷ একমাত্র সাধকই তা করতে পারেন৷ এবং এই সংযোগ সাধিত হলে যে কেউ বিশেষ শক্তির অধিকারী হতে পারেন৷ সে কারণেই সূর্যপ্রণাম মন্ত্র বা মালা জপ করার ক্ষেত্রেও ১০৮ সংখ্যাকেই বেছে নেওয়া হয়৷


বৈদিক যুগের বিশ্বাস, অঙ্ক, ধর্মীয় প্রথা সব মিলিয়ে মিশিয়েই ১০৮  সংখ্যাটি সনাতন হিন্দুধর্মাবলম্বীদের কাছে আজও পবিত্র হয়ে আছে৷